সল্টলেকের একটি পানশালায় গোলমাল এবং মারধরে অভিযুক্তদের পালাতে মদত দেওয়ার মামলায় তাঁকে ইতিমধ্যেই জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু, এর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে নারী পাচার ও দেহব্যবসা চালানোরও অভিযোগ উঠেছিল। ওই মামলায় পানশালার মালিক জগজিৎ সিংহের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল হাইকোর্টে।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম রায় ও বিচারপতি অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জগজিতের জামিন খারিজ করে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। চার্জশিটও দেওয়া হয়নি নিম্ন আদালতে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা যাচ্ছে না।
পানশালায় গোলমালের ঘটনায় চলতি বছরের মার্চে দিল্লি থেকে গ্রেফতার হন জগজিৎ। ওই মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাঁকে জামিন দেন। তবে বিচারপতি এ-ও জানিয়ে দেন, অন্য কোনও মামলা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থাকলে তাঁর রায় সেই মামলাকে প্রভাবিত করবে না।
জগজিতের আইনজীবী শেখর বসু আদালতে অভিযোগ করেন, বিধাননগর কমিশনারেটের বিভিন্ন পানশালায় নাচ-গানে পুলিশি নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ ফরেন লিকার অব অ্যান্ড অন শপ অ্যাসোসিয়েশন। ওই সংগঠনের সদস্য জগজিৎ। তার পর থেকেই প্রশাসনের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, গত ১৬ ডিসেম্বর বিধানগরের এক আবাসনে অভিযান চালিয়ে এক মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, মহিলা জেরায় জানান, তিনি ভিআইপি রোডের ধারে একটি পানশালায় নাচ-গান করেন। শেখরবাবু দাবি করেন, তাতে প্রমাণিত হয় না, ওই পানশালার মালিক (জগজিৎ) দেহব্যবসায় যুক্ত।
অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে সরকারি কৌঁসুলি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, বিহার ও গুজরাত থেকে দুই তরুণীকে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে কলকাতায় এনেছিলেন জগজিৎ। পরে তাঁদের জোর করে দেহব্যবসায় নামানো হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দিতে ওই দুই তরুণী এ কথা জানিয়েছেন। অন্য এক তরুণীও আদালতে জগজিতের বিরুদ্ধে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন বলে দাবি করেন শাশ্বতগোপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy