—প্রতীকী চিত্র।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে আরও দু’জনের মৃত্যু হল কলকাতায়। লেকটাউনের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩০ বছরের এক মহিলার। তিনি বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে তাঁর জ্বর এবং অন্য উপসর্গ ছিল। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। গত ২১ জুলাই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। ৬৬ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধ নদিয়ার তাহেরপুরের বাসিন্দা। গত ১৯ জুলাই কলকাতার ফুলবাগানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। ২১ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
বর্ষার মরসুমে প্রতি বছরই কলকাতায় ডেঙ্গি ঘিরে উদ্বেগ ছড়ায়। এই সময় রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। ২১ জুলাই কলকাতার হাসপাতালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা ওই মহিলার বয়স ৪৫। বেলেঘাটার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর আসার কারণে প্রথমে তাঁকে রানাঘাটের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জ্বর না কমায় সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণীর হাসপাতালে। কল্যাণী হাসপাতালে চিকিৎসার পরেও কিছুতেই সুস্থ হয়ে না ওঠায় তাঁকে কলকাতার বেলেঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেলেঘাটা হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন তিনি। আইসিইউ-তে চিকিৎসা চলাকালীন শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
গত শনিবার শহরে ডেঙ্গিতে প্রাণ হারিয়েছে দশ বছরের এক নাবালিকা। শনিবার পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। কলকাতার পিকনিক গার্ডেনে তার বাড়ি। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাকে। ডেঙ্গির উপসর্গ ছিল। তার মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখও রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, কলকাতা-সহ আশপাশের কিছু জায়গায় ডেঙ্গি হলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়নি। ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া গেলে সতর্ক হয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যেন ডেঙ্গি ছড়াতে না পারে। কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার ডেঙ্গি আক্রান্তদের প্লেটলেট দেওয়ার নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রক্তপাত ছাড়া রোগীর প্লেটলেট ১০ হাজারের নীচে নামলে প্লেটলেট দেওয়া যেতে পারে। রক্তপাত ছাড়া ১০ হাজার থেকে ২০ হাজারের মধ্যে প্লেটলেট কাউন্ট হলে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই।তবে বেশি রক্তপাত হলে, সে ক্ষেত্রে রোগীর প্লেটলেট ২০ হাজারের বেশি থাকলেও পরিস্থিতি বুঝে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy