মেয়ে যে মারা গিয়েছেন, মানতে নারাজ মা। প্রতীকী ছবি।
মেয়ে যে মারা গিয়েছেন, মানতে নারাজ মা। পরিবারের বাকিদেরও দাবি, বেড়াতে গিয়েছেন সাথী ওরফে সুস্মিতা ঘোষ (২৪)। পাভলভ মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সুস্মিতার মা ইলা ঘোষ-সহ পরিবারের তিন সদস্যের। আর, ব্যারাকপুর মর্গে পড়ে সুস্মিতার পচাগলা দেহ। নিয়ম অনুযায়ী, ময়না তদন্তের পরে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু সুস্মিতার পরিজনেরা সকলেই হাসপাতালে ভর্তি। ফলে দেহ সৎকার নিয়ে বিপাকে পড়েছে প্রশাসন।
গত শনিবার ব্যারাকপুর কমিশনারেটের মোহনপুর থানা এলাকায় দেবপুকুর কলেজপল্লিতে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সুস্মিতার দেহ। তারও দিন চারেক আগে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান ছিল। প্রতিবেশীরা জানান, শুক্রবার থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালেও সুস্মিতার মায়ের দাবি ছিল, ‘মেয়ে ঘুমোচ্ছে। ওকে বিরক্ত করা যাবে না।’ বাড়ির দোতলায় থাকতেন সুস্মিতা। আর নীচে তাঁর মা, মাসি ও দিদিমা। পরিবারটির দেখাশোনা করতেন পড়শিরাই।
সুস্মিতার মৃতদেহ উদ্ধারের পরে পুলিশের কাছে পরিবারের বাকি তিন জনের চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থার আর্জি জানান স্থানীয়েরা। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়ার উদ্যোগে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। সকলেরই মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানালে তাঁদের পাঠানো হয় পাভলভে।
তরুণীর পরিবারের তিন সদস্যের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা দেখে উদ্বিগ্ন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। অন্য দিকে, ব্যারাকপুর মর্গে প্রতিদিন যত দেহ আসে, তাতে একটি দেহ দীর্ঘদিন পড়ে থাকলেও সমস্যা বলে মর্গের তরফে জানানো হয়েছে।
ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ বারিক বলেন, ‘‘মেয়েটির নিকটাত্মীয়েরা সরকারি নিয়ম মেনে দেহ নিতে পারার মতো অবস্থায় নেই। বাকিদের কেউ এগিয়ে এলে কাজটা সহজ হত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy