এক তরুণীকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে, পর্ণশ্রী থানা এলাকার পাড়ুইকাঁচা রোডে। ওই রাতেই তদন্তকারীরা অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করে ওই তরুণীকে উদ্ধার করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সঞ্জু দাস, সঞ্জু মিস্ত্রি এবং সত্যজিৎ নস্কর। তিন জনেরই বাড়ি পর্ণশ্রী থানা এলাকার বঙ্কিমপল্লিতে।

পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে ওই থানা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ করেন, তিন যুবক তাঁর আঠারো বছরের মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকেও মারধর এবং গালিগালাজ করেছে ওই যুবকেরা। অভিযুক্তদের দু’জনের নামও পুলিশকে জানান ওই মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।

তদন্ত শুরু করে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পারে, বিয়ের উদ্দেশ্যেই ওই তরুণীকে অপহরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত সঞ্জু দাসের সঙ্গে অপহৃত তরুণীর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। পরস্পরের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াতও আছে। ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যেই ওই তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় সঞ্জু মিস্ত্রির। যা ভাল ভাবে নেয়নি সঞ্জু দাস। এর পরেই পুলিশ অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনের টাওয়ারের সূত্র ধরে তাদের সন্ধান পায়। বঙ্কিমপল্লির একটি বাড়িতে তারা রয়েছে জানতে পেরে ওই রাতেই সেখানে হানা দেয় তদন্তকারীদের একটি দল। উদ্ধার করা হয় ওই তরুণীকে। গ্রেফতার করা হয় ওই তিন যুবককে। তরুণী রাতেই পুলিশকে জানান, সঞ্জু দাস এবং তার বন্ধু সত্যজিৎ তাঁকে বাড়ি থেকে অপহরণ করার পরে স্থানীয় একটি মন্দিরে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করিয়ে দিয়েছে সঞ্জু মিস্ত্রির সঙ্গে।

এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ওই তরুণী সঞ্জু দাসের সঙ্গে সম্প্রতি সব রকমের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। নতুন করে সঞ্জু মিস্ত্রির সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক তৈরি হলে তা মেনে নিতে পারেনি সঞ্জু দাস। তাই সে ওই রাতে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তরুণীর বাড়িতে হানা দেয়। তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে আসে। সঙ্গে ছিল সঞ্জু মিস্ত্রিও। এর পরেই নাটকীয় ভাবে সঞ্জু মিস্ত্রির সঙ্গে মন্দিরে ওই তরুণীর বিয়ে দিয়ে দেয় তারা।

উদ্ধার হওয়ার পরে ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি সঞ্জু মিস্ত্রিকে বিয়ে করতে চাননি। কারণ, তাঁর সঙ্গে শুধুই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন তরুণী।