Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
strike

বেলা বাড়তেই ভোগান্তি, দুপুরেই থমকাল বেসরকারি বাসের চাকা

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজপথে থমকে যেতে শুরু করল বিভিন্ন রুটের একের পর এক বাস।

ধর্মতলায় বিভিন্ন রুটের বাস রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়। নিজস্ব চিত্র।

ধর্মতলায় বিভিন্ন রুটের বাস রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:২৫
Share: Save:

সপ্তাহের শুরুতেই ভোগান্তি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজপথে থমকে যেতে শুরু করল বিভিন্ন রুটের একের পর এক বাস।

আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, অফিস টাইম ছাড়া অন্য সময়ে বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সেই মতো সোমবার অফিস টাইমে অন্য দিনের মতোই বেসরকারি বাস-মিনিবাস চলেছে। কিন্তু সকাল ১১টার পর ধীরে ধীরে বাসের সংখ্যা কমতে থাকে। ধর্মতলা, বাবুঘাট, হাওড়ায় বিভিন্ন রুটের বাস বসিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ভোগান্তির মুখে পড়েন যাত্রীরা।

যাত্রীদুর্ভোগ কমাতে বেশি সংখ্যায় সরকারি বাস নামানো হয়েছে বলে পরিবহণ দফতরের দাবি। যদিও বেসরকারি বাস-মিনিবাসের উপর একটা বড় অংশের যাত্রী নির্ভরশীল। দুপুরের দিকে বাস কমে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।

বাস গ্যারেজে করে দেওয়া হচ্ছে, দেখুন ভিডিয়ো:

জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিক্টের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ঘড়ি দেখে ঠিক ১১টা থেকেই বাস বন্ধ করে দিইনি। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে তবেই বাসের চাকা বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকারি বাস থাকলেও, নিত্যযাত্রীরা বেসরকারি বাস, মিনিবাসেই বেশি যাতায়াত করেন। ফলে একটু সমস্যা তো হবেই। কিন্তু আমাদের আর অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না।”

আরও পড়ুন: ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৭ বছরের কারাদণ্ড

ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোম থেকে বুধ— এই ৩ দিন অফিস টাইম ছাড়া পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিলেন বাস মালিকেরা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, সকাল ৮-১১টা এবং বিকেল ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বেসরকারি বাস চলবে না। প্রথম দিনেই ভোগান্তির মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে সব বাস মালিক এই কর্মসূচিতে অংশ নেননি।

এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ধর্মতলা বাস টার্মিনাসে গিয়ে দেখা গেল, এক এক করে বিভিন্ন রুটের বাস গ্যারাজ করছেন চালকেরা। ৫৫এ রুটের (শিবপুর-ধর্মতলা) বাসচালক রঞ্জিত পাল বলেন, “প্রতি দিনই পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে গাড়ি চালানোর খরচ। তুলনায় গাড়ির ভাড়া বাড়েনি। মালিককে দিয়ে আমাদের কিছুই থাকে না।”

আরও পড়ুন: ১৮৯ যাত্রী নিয়ে মাঝ সমুদ্রে ভেঙে পড়ল ইন্দোনেশিয়ার বিমান

একই বক্তব্য ৩৪সি (ন’পাড়া-ধর্মতলা) রুটের কন্ডাক্টর বাবু সাহার। তিনি বলেন, “এই তিন দিন সাময়িক পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ভাড়া না বাড়লে আমদের কী করে চলবে বলুন তো?” ২১৪এ (সোদপুর গির্জা-ধর্মতলা), ৪৮এ (এয়ারপোর্ট-ধর্মতলা) রুটের বাস পরিষেবাও সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফের বিকেল ৪টে থেকে বাস চালানো হবে বলে জানালেন বাস চালকেরা। শুধু ধর্মতলাতেই নয় বাবুঘাটের ২০৫এ (বাবুঘাট-বাঁশদ্রোনি) রুটেরও বাস বন্ধ হয়ে যায় দুপুরের আগেই।

বিভিন্ন বাস সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, রুবি, কসবা, পাটুলি, টালিগঞ্জ, কবর়়ডাঙা, ঠাকুরপুকুর, বেহালা, খিদিরপুর, গড়িয়াহাট, গড়িয়া, সন্তোষপুর,গড়িয়া স্টেশন, সোনারপুর থেকে ধর্মতলা, হাওড়া এবং শিয়ালদহ রুটের বাস পরিষেবায় আংশিক ভাবে প্রভাব পড়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগ।

অন্য বিষয়গুলি:

Strike Transport Travel Bus Strike Harassment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE