সময় শেষ হওয়ার পরে খাতা জমা নিতে চেয়েছিলেন শিক্ষক। পরীক্ষার্থী খাতা জমা তো দিলই না। উল্টে দলবল নিয়ে কলেজে ভাঙচুর চালাল।
সোমবার ঘটনাটি ঘটে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে। কলেজ-কর্তৃপক্ষ অবশ্য কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে পুলিশ ডেকে এনে ওই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে খাতা উদ্ধার করা হয়েছে।
পরীক্ষার শেষ দিনে কলেজে ভাঙচুরের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহু কলেজে নকলে বাধা পেয়ে পরীক্ষার্থীরা ভাঙচুর করেছে। বস্তুত, সোমবার ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট টু পরীক্ষার শেষ দিন। কিন্তু পরীক্ষা শেষের পরে খাতা জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এমন গোলমাল এর আগে হয়েছে কি না, তা মনে করতে পারছেন না কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
ঠিক কী হয়েছে অ্যান্ড্রুজ কলেজে? কলেজ সূত্রের খবর, গড়িয়ার ওই কলেজে ভাঙড় কলেজের স্নাতক স্তরের পার্ট টু পরীক্ষার্থীদের আসন পড়েছিল। পরীক্ষা চলাকালীন অনেকেই টোকাটুকির চেষ্টা করে। তা নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের গোলমালও হয়। এ দিনও অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী টোকাটুকির চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে শিক্ষক খাতা জমা নিতে গেলে ওই পরীক্ষার্থী আপত্তি করে। আর তার পরেই তোলপাড় শুরু হয়।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, খাতা দেওয়া নিয়ে টানাপড়েন চলার সময়েই আরও কয়েক জন পরীক্ষার্থী এসে হাজির হয়। খাতা বগলে নিয়েই ওই পরীক্ষার্থী চেয়ার-টেবিল উল্টে ফেলে দিতে থাকে। তা দেখে সক্রিয় হয়ে ওঠে অন্যেরাও। শুরু হয় ক্লাসঘরের চেয়ার-টেবিল-পাখা ভাঙচুর। উদ্ভিদবিদ্যার পরীক্ষাগারে ঢুকেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
হাঙ্গামায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষকদের একাংশ। অধ্যক্ষের ঘরে আশ্রয় নেন তাঁরা। পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ছাত্রটিকে পাকড়াও করে খাতাটিও উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে কলেজে যান কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্ত। পরে তিনি অবশ্য বলেন, “তেমন কিছু নয়। আমি অন্য দরকারে গিয়েছিলাম।”
কী বলছে বিশ্ববিদ্যালয়? এ দিনের হাঙ্গামা নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, “কলেজের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কিন্তু কলেজ-কর্তৃপক্ষ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন?
এই প্রশ্নের জবাবে কলেজ-কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy