ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে জট কেটেও কাটছে না। এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে-ভাবে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, শিক্ষকদের একটা বড় অংশ তাতে ক্ষুব্ধ ও অপমানিত বোধ করছেন। তাই তাঁরা আদৌ ওই প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকবেন কি না, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। আজ, সোমবার জরুরি বৈঠকে বসছে শিক্ষক সংগঠন জুটা। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এ দিনই জুটা নেতৃত্বকে বৈঠকে ডেকেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে যাদবপুরে কলা বিভাগে কিছু বিষয়ে নম্বরের ভিত্তিতে সরাসরি পড়ুয়া ভর্তি করা হচ্ছিল আর কিছু বিষয়ে হত ভর্তির পরীক্ষা। সেই প্রবেশিকা নিয়ে অতীতে বারবার আপত্তি তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি তিনি প্রশ্ন তোলেন, জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে দিয়ে প্রেসিডেন্সি প্রবেশিকা পরীক্ষা করাতে পারলে যাদবপুর কেন পারে না?
তার পরেও এ বছর ছ’টি বিষয়ে ভর্তি-পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন যাদবপুর-কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় বিতর্ক। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, পরীক্ষা স্থগিত করে আইনজ্ঞের পরামর্শ চান কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের ৪৪ ঘণ্টা ধর্না এবং তাতে উপাচার্যের আটকে পড়ার মতো ঘটনাও ঘটে। প্রবেশিকা পরীক্ষা বহাল রাখার সিদ্ধান্তের পরে ধর্না ওঠে। তার পরে ভর্তি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় যে-দু’টি সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করে, এ বার তার এক সেট তৈরি করবেন বাইরের বিশেষজ্ঞেরা। খাতাও দেখবেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বাইরের শিক্ষকেরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, অ্যাডভোকেট জেনারেল পরামর্শ দিয়েছেন, প্রবেশিকা পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের বোর্ড অব স্টাডিজের কোনও ভূমিকা থাকবে না।
গোটা ঘটনায় শিক্ষকেরা শুধু ক্ষুব্ধ নন, অপমানিত বোধ করছেন বলে জানান জুটা-র সহ-সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, ‘‘যাদবপুরে এমনটা আগে কখনও হয়নি। এত অবিশ্বাস! এটা অসম্মানের। তাই জরুরি বৈঠক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy