ধর্মতলায় ওয়াই চ্যানেল থেকে বাসে চেপে সোমবার দুপুরেই দিল্লির পথে রওনা হয়েছিলেন প্রায় ৬০ জন চাকরিহারা। মঙ্গলবার সকালে তাঁদের বাস প্রয়াগরাজে পৌঁছেছে। পথে যেখানেই বাস দাঁড়িয়েছে, সেখানেই পথচলতি মানুষকে দাঁড় করিয়ে নিজেদের বঞ্চনা আর লড়াইয়ের গল্প শুনিয়েছেন তাঁরা। বার্তা দিয়েছেন, পাশে থাকুন।
সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই দিল্লি পৌঁছে যাবে চাকরিহারাদের বাস। তার পর বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে শুরু হবে চাকরি হারানোর প্রতিবাদে ধর্না। সোমবার রওনা হওয়ার আগে এমনটাই জানিয়েছিলেন চাকরিহারারা। দিল্লি গিয়ে তাঁরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইবেন। তাঁরা যেন এই মামলায় হস্তক্ষেপ করেন, সে বিষয়ে অনুরোধও জানানো হবে তাঁদের।
আরও পড়ুন:
চাকরিহারাদের তরফে তাঁদের সংগঠন ‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ২০১৬ ঐক্যমঞ্চে’র নেতা সাগর মণ্ডল বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে সবাই যোগ্য শিক্ষকদের পাশে এসে দাঁড়াক। দিল্লির যন্তরমন্তর থেকে আমরা এই বার্তাই দিতে চাই।’’ সাগর হাবড়া প্রফুল্লনগর বিদ্যামন্দিরের শিক্ষক ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে তাঁরও।
২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতির মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সম্প্রতি চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের সরকার পোষিত এবং ভারপ্রাপ্ত স্কুলগুলির ২৫,৭৩৫ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। প্রতিবাদে চাকরিহারাদের একটা বড় অংশ ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বুধবার দিল্লিতে তাঁদের কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ করার কথা ১৫০ জনের। ওই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য রবিবার ট্রেনে চেপে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন সাত-আট জন চাকরিহারা। সোমবার ধর্মতলা থেকে বাসে রওনা দিয়েছেন অন্তত ৬০ জন। মঙ্গলবার আরও কয়েক জন ট্রেনে চেপে দিল্লি রওনা দেবেন বলে খবর। অন্য দিকে, সোমবার কলকাতার রাস্তায় মিছিল করেছেন হাই কোর্টের রায়ে ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত চাকরিহারারাও। সিবিআইয়ের নথির ভিত্তিতে তাঁদের ‘অযোগ্য’ বলা হচ্ছে, সেটির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।