শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে তাঁর বাড়ির সামনে ক্ষণিকের জন্য ধর্নায় বসলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘যোগ্য’ তালিকায় জায়গা না-পাওয়া শিক্ষকদের একাংশ শনিবার দুপুরে পৌঁছে যান শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। কিন্তু ব্রাত্য তখন বাড়িতে ছিলেন না। এর পরেই মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে পড়েন ওই বিক্ষুব্ধ চাকরিহারারা। পরে পুলিশ মারফত মন্ত্রীর থেকে সাক্ষাতের আশ্বাস পেলে ব্রাত্যের বাড়ির সামনে থেকে অবস্থান তুলে নেন তাঁরা।
‘যোগ্য’ স্কুলশিক্ষকদের যে তালিকা এসএসসি তৈরি করেছে, সেই তালিকায় তাঁদের নাম নেই। বস্তুত, ওএমআর সংক্রান্ত সমস্যার কারণে একাংশের শিক্ষকেরা ‘যোগ্য’দের তালিকায় জায়গা পাননি। সে ক্ষেত্রে তাঁদের প্রশ্ন, ওএমআরে কারচুপির বিষয়টি এখনও প্রমাণিত না-হওয়া সত্ত্বেও এসএসসি কী করে তাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে দাগিয়ে দিয়ে বেতন বন্ধ করে দিতে পারে? এই অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চান তাঁরা।
আরও পড়ুন:
বিক্ষুব্ধ চাকরিহারারা যখন ব্রাত্যের বাড়ির সামনে পৌঁছোন, তখন শিক্ষামন্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ির সামনে মোতায়েন থাকা পুলিশকর্মীরা সে কথা জানান চাকরিহারা শিক্ষকদের। পুলিশের তরফে বলা হয়, ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ ছাড়া শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে দেওয়া যাবে না। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথাবার্তা চলে তাঁদের। পরে ব্রাত্যের সঙ্গে দেখা করার দাবিতে তাঁরা মন্ত্রীর বাড়ির সামনেই অবস্থানে বসে যান।
যদিও কিছু ক্ষণ পরেই বাড়ির সামনে মোতায়েন থাকা পুলিশকর্মীদের মারফত মন্ত্রীর আশ্বাসবার্তা পান বিক্ষুব্ধরা। তাঁদের প্রথমে শিক্ষা সেলের নেতা বিজন সরকারের সঙ্গে দেখা করে একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে তাতে রাজি হননি চাকরিহারারা। শেষে মন্ত্রী জানান সোমবার তিনি তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং সাক্ষাতের সময় পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
- ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট। বলল, পুরো প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হয়েছে। ওই নিয়োগপ্রক্রিয়ার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
- এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাই কোর্ট এই সংক্রান্ত শুনানির পর ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগপ্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল।
- রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি (আদতে ২৫,৭৫২) বাতিল করে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
-
নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে ‘দাগিদের’ বাদ দেওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য এবং এসএসসি
-
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধন এসএসসির, জেনারেলের মতোই আবেদন করতে হবে ওবিসিদের
-
আদালত অবমাননার আশঙ্কা, তাই নির্দেশ মতো পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি আইনি লড়াই চলবে, বললেন মমতা
-
উত্তরপত্রে কারচুপি থাকলে পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, ‘অযোগ্য’দের আর্জি খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট
-
থানায় হাজিরা দিতেই হবে দুই চাকরিহারা শিক্ষককে! বিকাশ ভবনের সামনে লোকসংখ্যাও কমাতে হবে, বলল হাই কোর্ট