২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নয়াদিল্লিতে গিয়েছে মুম্বই পুলিশের একটি দল। কিন্তু অভিযোগ, রানা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। বার বার জবাব এড়িয়ে যাচ্ছেন। দিল্লির আদালতে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন ৬৪ বছরের এই পাক বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক। তবে বৃহস্পতিবার তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বুধবার টানা আট ঘণ্টা ধরে মুম্বই পুলিশ আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়েছিলেন রানা। সূত্রের খবর, মুম্বই হামলার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ, একাধিক বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু রানার কাছ থেকে সদুত্তর পাননি তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:
পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে দিল্লির পটীয়ালা আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন রানা। তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন পীযূষ সচদেব। তিনি জানান, রানা বিদেশি নাগরিক। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার মৌলিক অধিকার তাঁর আছে। পরিবারের সদস্যেরা তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। কিন্তু জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) এই আবেদনের বিরোধিতা করেছে। তারা জানিয়েছে, পরিবারের সঙ্গে কথা বললে রানা গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করে ফেলতে পারেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে এনআইএ আদালতের বিচারক রানার আবেদন খারিজ করেছেন। জানিয়েছেন, এই মামলা অত্যন্ত সংবেদনশীল। তদন্ত চলছে। তাই পরিবারের সঙ্গে কথা বলার আর্জি এখন গ্রাহ্য হতে পারে না। রানার আরও ১৮ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত। প্রতি ৪৮ ঘণ্টা অন্তর তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জেনে বেছে বেছে গুলি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ করেছে ভারত। পাল্টা পাকিস্তানও নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। তার মাঝেই ভিন্ন জঙ্গি হামলার মামলায় পাক বংশোদ্ভূত কানাডিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।