পহেলগাঁও কাণ্ডে নিহত হয়েছেন তিন বাঙালি পর্যটক। তাঁদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা শনিবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার বাসিন্দা মণীশরঞ্জন মিশ্র এবং বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে সরকারের তরফে। পাটুলির বিতান অধিকারীর বাবা-মাকে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং তাঁর স্ত্রীকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, বিতানের বাবা-মাকে মাসে ১০ হাজার টাকা পেনশন দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কাশ্মীরের উধমপুরে সেনা অভিযানে নিহত তেহট্টের ঝন্টু আলি শেখের পরিবারকেও ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা শনিবার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই জওয়ানের সন্তানদের সেনা স্কুলে পড়ানোর আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন বিতান, মণীশরঞ্জন এবং সমীর। বিতান আমেরিকার ফ্লরিডায় চাকরি করতেন। তাঁর স্ত্রী এবং সাড়ে তিন বছরের পুত্র কলকাতায় থাকেন। কলকাতাতেই অন্য এক বাড়িতে যুবকের বৃদ্ধ বাবা-মাও থাকেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিতানই পরিবারের এক মাত্র রোজগেরে ছিলেন। নবান্ন সূত্রে খবর, সে কারণে বিতানের বাবা-মাকে ক্ষতিপূরণের অর্ধেক টাকা দেওয়ার পাশাপাশি, মাসে পেনশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মমতা। শনিবার নবান্ন সভাঘরে চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক ছিল রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের। সেখানেই ফোনে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই পহেলগাঁওয়ে নিহতদের পরিবারকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বিতানের বাবা-মায়ের ওষুধের খরচ বাবদ মাসে ১২ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। বৃদ্ধ দম্পতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর রত্না বলেন, ‘‘আমি বলেছি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা আমাদের সরকার আপনাদের জন্য নিশ্চয়ই কিছু ব্যবস্থা করবে। কিন্তু আপনাদের ওষুধের খরচ বাবদ মাসে যে ১২ হাজার টাকা লাগে, তা আমিই বহন করব।’’ বিতানদের একটি বাড়ি বেহালার বৈশালী পার্কে, যা কলকাতা পুরসভার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। রত্নার বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে জায়গাটি। বৈশালী পার্কের বাড়িতেই বিতানের মা-বাবা থাকেন। তাঁদের প্রতি মাসে ওষুধের খরচ দেবেন রত্না।