Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
State News

সিএএ-লড়াইয়ে এককাট্টা যাদবপুর

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিভাগের ছাত্র সংসদের তরফে শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সিএএ, এনআরসি, এনপিআরের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। 

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৫৫
Share: Save:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোটের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেয়েছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), এনআরসি, এনপিআর। ভোটের ফলে তিন বিভাগেই স্থিতাবস্থা, বাম শিবিরের জয়জয়কার। তিন বিভাগের ছাত্র সংসদের তরফে শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সিএএ, এনআরসি, এনপিআরের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংসদের নবনির্বাচিত চেয়ারপার্সন (ডিএসএফ) অরিত্র মজুমদার বলেন, ‘‘সিএএ, এনআরসি, এনপিআরের বিরুদ্ধে যাদবপুরের পড়ুয়ারাও লড়ছে। কেন্দ্র গোটা বিষয়টি প্রত্যাহারের আগে পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবে।’’

বিজ্ঞান শাখায় এ বারেও জিতেছে উই দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। নবনির্বাচিত চেয়ারপার্সন জ্যোতির্ময় বিশ্বাস এ দিন বলেন, ‘‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন নই। দেশের পক্ষে মারাত্মক এই কেন্দ্রীয় উদ্যোগের বিরুদ্ধে স্বাধীন ভাবে যেমন প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছি, তেমনই চালাব।’’ কলা বিভাগে এসএফআই বড় ব্যবধানে জিতেছে। নতুন চেয়ারপার্সন তীর্ণা ভট্টাচার্য সমবার্তনের সময় গাউনে ‘নো এনআরসি’, ‘নো সিএএ’ পোস্টার লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলন একই ভাবে চলবে।’’

আরও পড়ুন: তারকা হোটেলে মদ সারা রাতই, ছাড় নবান্নের

এ বারেই প্রথম যাদবপুরে প্রার্থী দিয়েছিল এবিভিপি। কলা ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কার্যনির্বাহী সব পদেই প্রার্থী ছিল তাদের। কলা বিভাগে সুবিধা করতে পারেনি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যবধান অনেক হলেও তারা দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। তবে শ্রেণি-প্রতিনিধির কোনও পদে জেতেনি এবিভিপি। অরিত্র জানান, মোট ৩১৩ শ্রেণি-প্রতিনিধি পদের মধ্যে মনোনয়ন জমা পড়েছিল ২৮৬টিতে। তার অধিকাংশ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। সব মিলিয়ে ডিএসএফের ঝুলিতে এসেছে ২৬৬টি পদ। তবে এবিভিপি-র চেয়ারপার্সন পদের প্রার্থী নিখিল দাসের দাবি, নির্দল জয়ী প্রার্থীদের তাঁদের সমর্থক আছেন। টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের দাবি, ফার্মাসি বিভাগে একটি আসনে তাঁদের প্রার্থী জিতেছেন। কলা বিভাগে ২৯টি শ্রেণি-প্রতিনিধি পদে টিএমসিপি জিতেছে বলে জানান তৃণাঙ্কুর। এসএফআইয়ের বক্তব্য, নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জেতা প্রার্থীদেরও টিএমসিপি নিজেদের প্রার্থী বলে দাবি করছে। মোট ২২৪ শ্রেণি-প্রতিনিধির মধ্যে এই বিভাগে এবিভিপি তিনটি আসনে জিতেছে। বিজ্ঞান বিভাগে প্রার্থী দেয়নি তারা। সেখানে ৮০টি আসনের ৭৮টিতে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। ১৬টি বাদে সব পদে লড়াই হয়নি। একটি আসন পেয়েছে টিএমসিপি।

অন্য বিষয়গুলি:

Jadavpur University CAA NRC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy