সুষম খাবার মানেই দুধ। এমনটা সব্বাই জানেন। দুধ খেলেই সব খাদ্যগুণ শরীরে ঢুকবে। তাই খেতে না চাইলে ছোটদের দুধটুকু কোনও মতে গিলিয়ে দিতে পারলেই মায়েদের চিন্তা কমে। ধারণাটা মোটেই ঠিক নয়। ডায়টেশিয়ান অর্পিতা ঘোষ দেব জানাচ্ছেন, দুধে ভিটামিন সি, আর আয়রন নেই। সুতরাং দুধ থেকে সমস্ত ভিটামিন আর মিনারেল যে পাওয়া যায় না, তা তো বোঝাই যাচ্ছে। দুধে কার্বোহাইড্রেটও কম। আর ১০০ মিলিলিটার দুধে মাত্র ৩-৪গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। কিন্তু ভিটামিন ডি-থ্রি খুব কম থাকে। এই ভিটামিন ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য দরকার। সুতরাং শুধু দুধ খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হবে।
আগে দেশি গরুর থেকে দুধ মিলত। এখন ডেয়ারি ফার্মগুলোতে জার্সি গরুই বেশি। সেই দুধের গুণমান অনেক কম। হোলমিল্কে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। দিনের পর দিন এই দুধ খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে। তার থেকে বাড়ে হার্টের সমস্যা। দুধের শর্করা অনেকে হজম করতে পারেন না। দুধ খেলেই অম্বল হয়ে যায়। ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, বদহজম, কোলাইটিস, কোলনের সমস্যা থাকলে দুধ ক্ষতি করে।
তবে কি দুধ খাব না?
টোনড মিল্ক খেতে পারেন।
হার্টের সমস্যা, প্রেসার-কোলেস্টেরল থাকলে ডাবল টোনড মিল্ক খাবেন।
খুব বেশি ফ্যাট খাওয়া বারণ হলে স্লিম মিল্ক খেতে হবে।
বেশি মোটাসোটা না হলে আর দৌঁড়ঝাপ করে খেলাধূলো করলে ছোটদের হোল মিল্ক দিতে পারেন।
দুধ হজম করতে অসুবিধে হলে দইও খেতে পারেন।
ছানা থেকে জল ফেলে দিলে শর্করা সেটি মুক্ত হয়ে যায়। তাতে হজমের অসুবিধে হয় না।
মাছ খেলে আলাদা করে দুধ খাওয়ার দরকার হয় না। ছানা বা দই খেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy