এক দিকে সিবিআই অন্য দিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সাঁড়াশি প্যাঁচে ফেলার তোড়জোড় শুরু হয়েছে নারদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের।
মূল যে ১৩ জন অভিযুক্ত, তাঁদের মধ্যে সবার আগে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ-কে শনিবার সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছিল। এ বার হাজিরার জন্য ইকবালকে নোটিস পাঠাল ইডি-ও। আগামী বুধবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজির হওয়ার জন্য তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ম্যাথুকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইকবালের কাছে জানতে চাওয়া হবে, তিনি টাকা নিয়েছিলেন কি না। নিলে, কেন নিয়েছেন। এ ভাবে একের পর এক ১৩ জন অভিযুক্তকেই ডেকে পাঠানো হবে বলে ইডি সূত্রের খবর।
তদন্তকারীদের মতে, ম্যাথুর তোলা ফুটেজ ফরেন্সিক পরীক্ষার পরে প্রমাণ হয়েছে সেটি বিকৃত বা জাল নয়। ফলে, অভিযুক্তদের পক্ষে ঘুষ নেওয়ার কথা অস্বীকার করা মুশকিল হবে। সে ক্ষেত্রে সেই টাকা তাঁরা দলীয় তহবিলের জন্য নিয়েছিলেন, নাকি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য— সেটা প্রমাণ করার বিষয়ও উঠবে।
শরীর খারাপ এবং রমজান মাসের জন্য এখনই তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলে গত শনিবার সিবিআই-কে জানিয়েছিলেন ইকবাল। সে দিনই দ্বিতীয় নোটিস জারি করে আজ, বৃহস্পতিবার আবার তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। এ দিন তিনি হাজিরা দেবেন কি না তা জানার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছিল ইকবালের সঙ্গে। তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস-এরও জবাব দেননি। আবার বৃহস্পতিবারেই কলকাতায় এসে মুচিপাড়া থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা ম্যাথু স্যামুয়েলের।
সিবিআইয়ের এক তদন্তকারীর কথায়, নারদ কাণ্ডে ইকবালই একের পর এক নেতার কাছে ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলকে নিয়ে গিয়েছিলেন। কোন পরিস্থিতি ও কীসের বিনিময়ের তিনি ম্যাথুকে এই সাহায্য করেছিলেন, তা ইকবালের কাছ থেকে জানতে চায় সিবিআই। নারদ তদন্তের ক্রম অনুযায়ী ইকবালকেই প্রথম জেরার করার পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁর বয়ানের উপরে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নির্ভর করছে বলেও জানিয়েছেন এক অফিসার।
কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা ইতিমধ্যেই ম্যাথুকে জেরা করেছে। তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করা হয়েছে। এ বার জেরার পালা অভিযুক্তদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy