সংক্রান্তির দিন গুলো কাটুক! নতুন বছর পড়তেই তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদলের জন্য আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী এও জানিয়ে দিলেন, বৈশাখ মাসে তাঁর মন্ত্রিসভাতেও রদবদল করবেন তিনি। কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভা থেকে জয়ী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হবেই। শপথ নিতে দেখা যেতে পারে আরও দু’-তিন নতুন মুখকেও!
এ দিন উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই মমতা বলেন, ‘‘চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে খুব মিস করছিলাম। শঙ্করদাকেও (প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী) খুব মিস করি। মণীশদাকে (প্রাক্তন বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত) মিস করতাম। ওঁকে অবশ্য রাজ্যসভায় পাঠিয়েছি। চন্দ্রিমাকে এ বার মন্ত্রী করব। ও ভাল দায়িত্ব নিশ্চয় পাবে।’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘চন্দ্রিমা সত্যি খুব ভাল কাজ করত। আমাকে সাহায্য করত। তবে আরও এক দু’জনকে মন্ত্রী করতে হবে। বৈশাখ মাসেই করব।’’
আরও পড়ুন:রামের উদয়, বামের অস্তে উদ্বিগ্ন তৃণমূল
চন্দ্রিমাকে যে মমতা মন্ত্রী করবেন সেই ইঙ্গিত দলে আগেই ছিল। তাঁকে স্বাস্থ্য দফতর বা আইন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে তৃণমূলে জল্পনা রয়েছে। তবে সূত্রের খবর, নতুন বছরে সংগঠন ও সরকারের সুচিন্তিত ভাবে কিছু বদল আনতে চাইছেন নেত্রী। ২১ এপ্রিল সাংগঠনিক নির্বাচনের মাধ্যমে নয়া সংগঠন তৈরি হবে। হতে পারে এ বার দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য করা হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভা থেকে কয়েকজনকে সংগঠনে আনা হতে পারে। যাঁরা বিজেপি-র বিরুদ্ধে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াইয়ের জন্য দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার কাজ করবেন। পাশাপাশি সরকারে চন্দ্রিমার মতো কয়েক জন ‘কাজের মানুষ’ আনতে চাইছেন মমতা। কারণ, মমতার লক্ষ্য হল খাদ্য সাথী, সবুজ সাথীর মতো সরকারের প্রকল্পগুলির যথাযথ বাস্তবায়ন। এবং সেই কাজ দিয়ে মানুষের আস্থা ধরে রাখা। এ ব্যাপারে মমতাকে এখন অনেকটাই আমলাদের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এমন কিছু নেতাকে মন্ত্রিসভায় চান যাঁরা কাজও করবেন, এবং সেগুলির রাজনৈতিক প্রচারের জন্য অহোরাত্র সক্রিয় থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy