Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ভাড়াটেকে ‘ধর্ষণ’, অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা

বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন ভাড়াটে গৃহবধূ। বছর বাইশের ওই বধূর অভিযোগ, ধর্ষণের কথা জানাজানি হলে খুনের হুমকিও দেয় বাড়ির মালিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২৮
Share: Save:

বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন ভাড়াটে গৃহবধূ। বছর বাইশের ওই বধূর অভিযোগ, ধর্ষণের কথা জানাজানি হলে খুনের হুমকিও দেয় বাড়ির মালিক। বৃহস্পতিবার, সাঁতরাগাছি থানার মসজিদতলার ঘটনা। পুলিশ জানায়, শনিবার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে বাড়ির মালিক মুনির দেওয়ান পলাতক।

পুলিশ সূত্রে খবর, পরিজনদের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে মাস তিনেক আগে জগাছার বাসিন্দা ওই বধূ স্বামীর সঙ্গে মুনিরের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। তবে মাঝেমধ্যে তাঁর স্বামী জগাছার বাড়িতে যেতেন। ওই দিনও সেখানেই গিয়েছিলেন তিনি।

পুলিশের কাছে ওই দম্পতি জানিয়েছেন, ঘটনার দিন ওই ব্যক্তি বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ বাদেই তাঁর খোঁজে আসে মুনির। অভিযোগ, একা পেয়ে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে সে। পরের দিন তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনি ঘটনার কথা জানতে পারেন। অভিযোগ, এ নিয়ে তিনি মুনিরের কাছে গেলে সে ঘটনাটি চেপে যেতে বলে। এমনকী, ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রস্তাবও দেয়। এর পাশাপাশি, পুলিশ বা অন্য কাউকে জানালে মুনির নিজের সাত ভাইয়ের সাহায্য নিয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তার ভয়ে সে দিনই তাঁরা বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে অভিযোগে জানান ওই দম্পতি।

দম্পতি আরও জানান, প্রথমে ভয়ে তাঁরা কাউকে কিছু বলেননি। কিন্তু রাতারাতি অন্য বাড়ি ভাড়া পাবেন না ভেবে এক প্রতিবেশী বাপন দেওয়ানের কাছে আশ্রয় চান। সে দিন থেকেই ভাড়া থাকতে চেয়ে আর্জিও জানান। সন্দেহ হওয়ায় বাপন কারণ জানতে চাইলে বধূর স্বামী ঘটনার কথা জানান। এর পরেই বাপন তাঁদের নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ও পাড়ার অন্য লোকেদের নিয়ে মুনিরের বাড়িতে যান। ততক্ষণে মুনির বেপাত্তা। মুনিরের পরিজনেরা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

পুলিশ জানায়, মুনিরের খোঁজ চলছে। ওই বধূর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে শনিবার রাতে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

rape tenant land lord southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE