Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

উৎপাদন চালু ফোর্ট গ্লস্টারে, মিলল বোনাসও

ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লস্টার জুটমিল। বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এদিন রাতের শিফট থেকে বোনাস দেওয়াও শুরু হয়। বোনাস কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কারখানায় বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকদের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাউড়িয়া শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:৩৯
Share: Save:

ফের উৎপাদন শুরু হয়েছে বাউড়িয়ার ফোর্ট গ্লস্টার জুটমিল।

বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এদিন রাতের শিফট থেকে বোনাস দেওয়াও শুরু হয়। বোনাস কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কারখানায় বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকদের একাংশ। তাঁদের বিরুদ্ধে কারখানার অফিসে ভাঙচুর ও আধিকারিকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। ওই রাতেই কারখানায় ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর বিজ্ঞপ্তি ঝোলান কর্তৃপক্ষ। গোলমালের প্রেক্ষিতে ২৫ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে তাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন। এর পর ২২ সেপ্টেম্বর শ্রমিক সংগঠনগুলি এবং কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনায় ঠিক হয় ২৪ সেপ্টেম্বর ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক’-এর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করবেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানাও চালু হয়ে যাবে ওইদিন সকাল থেকে। ওই আলোচনায় বৈঠকে বোনাস সংক্রান্ত সমস্যাও মিটিয়ে নেওয়া হয়।

যদিও বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ভোরেই ফের গোলমাল দেখা দেয়। যে ২৫ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল তাঁদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে খবর পেয়ে শ্রমিকদের একাংশ ওই দিন সকালেই হাজির হয়ে যান কারখানার গেটে। কারখানা খুলে গেলেও কাজে যোগ দিতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের তাঁরা কারখানায় ঢুকতে বাধা দেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, যে তিনজন শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে। না হলে তাঁরা উৎপাদন চালু করতে দেবেন না। ফলে মিল কর্তৃপক্ষ সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক-এর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেও উৎপাদন শুরু করা যায়নি। কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের দাবিকে আমল দেননি। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ২৫ জন শ্রমিক যে তাণ্ডব চালিয়েছেন তাতে কারখানায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এটা অপরাধমূলক কাজ। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা করেছে তাতে তাঁরা হস্তক্ষেপ করবেন না। অন্যদিকে পুলিশও জানিয়ে দেয়, মিল কর্তৃপক্ষের অভিযোগে ভিত্তিতে তিন জন শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়েছে।

সিটু এবং ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের দাবিকে সমর্থন করলেও দুই সংগঠনের নেতারাই জানিয়ে দেন, কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখানোর ব৬রিুদ্ধে তাঁরা। আইএনটিটিইউসির পক্ষ থেকেও জানানো হয়, তিন জন শ্রমিকদের গ্রেফতারের বিষয়টি কারখানা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের ব্যাপার। এ ব্যাপারে তাঁদের কিছু বলার নেই। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে আর কোনও শ্রমিককে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়নি। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যোগ দিতে ইচ্ছুক শ্রমিকেরা কারখানায় ঢুকে যান। দুপুর এবং রাতের শিফটেও ছিল একই ছবি। কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডিসি বাইতি বলেন, ‘‘আমরা কারখানা খুলে দিয়েছি, আমরা চেয়েছিলাম শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিন, তাঁরা কাজে এসেছেন। উৎপাদন চালু হয়েছে। আমরা খুশি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE