হামলার পর লন্ডভন্ড অফিসঘর।--নিজস্ব চিত্র।
বিক্ষিপ্ত ভাবে মহকুমার নানা প্রান্তে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠছিলই। বুধবার রাতে আরামবাগে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালানোরও অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের ধরার দাবিতে বৃহস্পতিবার থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি, মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিজেপি কর্মীরা নিজেরাই ওই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের দৌলতপুরে ওই কার্যালয়ে বুধবার রাত ১২টা নাগাদ হামলা চালায় জনাদশেক যুবক। কার্যালয়ে রাতে ছিলেন বিজেপি কর্মী সুকুমার সাঁতরা। ভয়ে তিনি লুকিয়ে পড়েন। কার্যালয়ের দরজা ভেঙে দেওয়া হয়। তিনটি আলমারিতেও ভাঙচুরি চালিয়ে লন্ডভন্ড করা হয় ভিতরের জিনিসপত্র। নষ্ট করা হয় ছবি। এমনকী, কার্যালয় চত্বরে থাকা বিজেপির দলীয় পতাকাটি মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। ভেঙে দেওয়া হয় পতাকার দণ্ডটি।
বৃহস্পতিবার সকালেই বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সুকুমারবাবুর দাবি, “হামলাকারীরা নেশাগ্রস্ত ছিল। তৃণমূলের নামে স্লোগান দিচ্ছিল। দরজা ভেঙে দেওয়ার পরই আমি অন্ধকারে লুকিয়ে পড়ি।”
বিজেপির আরামবাগ জেলা সম্পাদক অসিত কুণ্ডু বলেন, “এত দিন সকালে হামলা করত তৃণমূল। এ বার রাতের অন্ধকারেও শুরু করল।” পক্ষান্তরে, দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর দাবি, “আরামবাগে বিজেপির সব সভা ব্যর্থ হচ্ছে। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এবং এলাকায় প্রতিষ্ঠা পেতে ওরা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy