বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরে গোটা আরামবাগ মহকুমা জুড়ে জোরদার টহলদারি শুরু করেছে পুলিশ। আরামবাগ মহকুমার সঙ্গে রাজ্যের পাঁচ জেলার (হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া) সীমানা রয়েছে। সতর্কতা হিসাবে সীমানা এলাকাগুলি ছাড়াও মহকুমার সমস্ত বাসস্ট্যান্ড, বাজার-হাট, হোটেল-লজগুলিতে চেকিং শুরু হয়েছে। নতুন কেউ হোটেলে বা লজে এলে নজর রাখা হচ্ছে। গোঘাটের ভিকদাসে ৪০০ কেভি সাব স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নতুন করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ সব ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাসকারীদের চিহ্নিতকরণ এবং নজরদারি শুরু হয়েছে। অচেনা লোক বা অবৈধ জমায়েত দেখলেই দ্রুত থানায় খবর দেওয়ার জন্য পুলিশের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে। প্রচারে ফলও মিলেছে। মঙ্গলবার বিকালেই একটি অর্থলগ্নি সংস্থার আরামবাগ এবং ঘাটালের এজেন্টরা বিনা আনুমতিতে চাঁদুর ফরেস্ট সংলগ্ন এলাকায় মিটিং করছিলেন। স্থানীয় মানুষ পুলিশকে জানালে পুুলিশ গিয়ে তিনজনকে থানায় নিয়ে গিয়ে যায়। পরে তাঁদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের জন্যই এই সতর্কতা নয় বলে দাবি করেছেন এসডিপিও (আরামবাগ) শিবপ্রসাদ পাত্র। তিনি বলেন, “রুটিন মাফিক কাজই করা হচ্ছে।” যদিও জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, বর্ধমানের বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর রাজ্যের সমস্ত জেলাকেই সতর্ক থাকার বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই এমন পদক্ষেপ পুলিশের।
লাগোয়া পাঁচ জেলার কেন্দ্রস্থল হিসাবে আরামবাগ মহকুমা বিশেষ অপরাধপ্রবণ বলে সরকারিভাবেই চিহ্নিত। চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ছাড়াও ১৯৯৯ এবং ২০০০ সাল নাগাদ জনযুদ্ধ গোষ্ঠীর দাপট ছিল মহকুমায়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরামবাগের বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে থাকা বাঁকুড়ার দুই মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy