শোকাহত পরিবার। নিজস্ব চিত্র
মাংস খেতে না চাওয়ায় বন্ধুর ছুরির আঘাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। সোমবার রাতে ভদ্রেশ্বরের ১ নম্বর শান্তিপল্লি এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুনীল মালিক (৪০)। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর প্রতিবেশী উৎপল ভট্টাচার্যকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে নিজের বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেছিলেন উৎপল। সেখানেই নিমন্ত্রিত ছিলেন সুনীল। অভিযোগ, সুনীল মুরগির মাংস খেতেন না। তাই ভোজে মুরগির মাংস থাকায় আপত্তি করেছিলেন তিনি। তা নিয়ে প্রথমে একপ্রস্ত বচসা হয় উৎপলের সঙ্গে। সে সময় তাঁদের নিরস্ত করেন আর এক প্রতিবেশী ঝন্টু দাস।
কিন্তু খাওয়া দাওয়ার সময় আবার বচসা শুরু হয়। ঝন্টু বলেন, ‘‘মুরগি খায় না বলে সুনীল মাংসের বাটি নিয়ে বাইরে ফেলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তত ক্ষণে উৎপল তার বাড়ির সব দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।’’ অভিযোগ, সুনীলকে মাংস খেতে জোর করেন উৎপল। বচসার সময় আনাজ কাটা একটি ছুরি সুনীলের তলপেটে চালিয়ে দেন উৎপল।
ঝন্টুর দাবি, তিনি চিৎকার শুরু করায় ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরাই দরজা ভেঙে উদ্ধার করেন সুনীলকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চন্দননগর হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার এনআরএস-এ। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঝন্টু বলেন, ‘‘সে সময় প্রতিবেশীরা এসে না প়ড়লে আমাকেও ছুরি মারত উৎপল। এর আগে এ ভাবে ওর এক মামাকেও আঘাত করেছিল।’’
ঘটনার রাতেই এলাকায় পুলিশ যায়। উৎপলের পরিবারের কাউকে না পেলেও এলাকার এক পুকুরের পাশ থেকে আটক করা হয় উৎপলকে। এ দিন সুনীলের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপরই গ্রেফতার করা হয় উৎপলকে।
স্থানীয় বাসিন্দা সানু দাস বলেন, ‘‘উৎপল এর আগেও এমন কাণ্ড করেছে। সে বার প্রাণে বেঁচেছিলেন তিন জন। এ বার একটা মানুষের মৃত্যু ঘটল। ওর উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।’’ চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত কিনা সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy