Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

‘খাঁচা’কলে নির্বীজকরণ

টাকা আছে, খাঁচা নেই— তাই চন্দননগরে থমকে রয়েছে কুকুরের নির্বীজকরণের কাজ। আসল গোলমাল পশুপালন দফতর এবং পুরসভার মধ্যে।

সেবা: চুঁচুড়া পশু হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র

সেবা: চুঁচুড়া পশু হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৮
Share: Save:

টাকা আছে, খাঁচা নেই— তাই চন্দননগরে থমকে রয়েছে কুকুরের নির্বীজকরণের কাজ। আসল গোলমাল পশুপালন দফতর এবং পুরসভার মধ্যে।

পশুপালন দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের চার জেলার কয়েকটি পুরসভা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় কুকুর নির্বীজকরণের জন্য টাকা পেয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে হুগলির চন্দননগরও। অন্য তিন জেলায় কাজ শুরু হলেও কাজ হয়নি চন্দননগরে। ২০১৬-১৭ অর্থ বর্ষে ওই প্রকল্পে আসা টাকা এ বার ফিরে যাবে বলে মনে করছেন জেলার পশুপালন দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, পুরসভা কুকুর ধরার মতো পরিকাঠামো তৈরি করছে না বলেই থমকে রয়েছে কুকুর নির্বীজকরণের কাজ। যদিও চন্দননগর পুরসভার কমিশনার স্বপন কুন্ডু বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, পশুপালন দফতরের উদাসীনতায় পড়ে রয়েছে কাজ।

অথচ চন্দননগরের বাসিন্দারা অতিষ্ট। তাঁদের অভিযোগ, পাড়ায় পাড়ায় বেড়েই চলেছে কুকুরের সংখ্যা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে শিলিগুড়ি, আসানসোল, হাওড়া ও চন্দননগর পুরসভার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি সে কাজ শেষ করে ফেলেছে। কাজ হয়েছে বর্ধমানেও। হাওড়ায় কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় তা আটকে রয়েছে। কিন্তু চন্দননগরে কাজ শুরুই করতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। জেলা পশুপালন দফতরের কর্তাদের দাবি, চন্দননগরের ৫-৭ লক্ষ টাকা এসে পড়ে রয়েছে। দু’বছরে কাজ না হওয়ায় সে টাকা ফিরে যাবে।

কিন্তু কেন শুরুই করা গেল

না কাজ?

জেলা পশুপালন দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘প্রথমে তো রাস্তা থেকে কুকুর ধরতে হবে। তাদের সাময়িক আটকে রেখে চলবে নির্বীজকরণ। সে জন্য খাঁচা দরকার, নির্দিষ্ট শিবির প্রয়োজন। চন্দননগরে সে সব নেই।’’ ওই কর্তার দাবি, খাঁচার প্রসঙ্গে চন্দননগর পুর-কর্তৃপক্ষ তাঁদের বলেছেন কল্যাণী থেকে খাঁচা আনিয়ে নিতে।

সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বপন কুন্ডু। তিনি বলেন, ‘‘ দেড় মাস আগে লিখিত ভাবে পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছি পশুপালন দফতরকে। যাতে পরিকাঠামো তৈরি করা যায়। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি।’’

ফল ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় রাজা বিশ্বাস বলেন, ‘‘কুকুরের ঠেলায় রাস্তায় হাঁটা দায়। তার মধ্যে আবার ছানা হয়েছে। তারা পায়ে পায়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে আসে। অস্বস্তি হয়। আবার ঠান্ডার মধ্যে তাড়িয়ে দিতেও পারি না। আমাদের হয়েছে জ্বালা।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE