পর পর দু’দিনের বানে ভেঙে গিয়েছে বাউড়িয়া লঞ্চঘাটের জেটি। কিন্তু যাত্রী পারাপার যাতে বিপর্যস্ত না হয়, তার জন্য ওই ঘাটের অদূরে একটি ঘাট থেকে অস্থায়ী ভাবে লঞ্চ চালানো শুরু করল হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতি। তবে, মেরামতির পরে লঞ্চঘাট কবে থেকে পুরোদস্তুর চালু করা যাবে, সে ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।
হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির সভাপতি তথা উত্তর হাওড়ার বিধায়ক অশোক ঘোষ বলেন, “পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে। টাকা পেলেই লঞ্চঘাট মেরামতির কাজ শুরু হবে।”
শুক্র এবং শনিবার রাতে ভয়াবহ উচ্চতায় আসা গঙ্গার বানের তোড়ে হাওড়ার শিবপুরের পাশাপাশি বাউড়িয়া লঞ্চঘাটের জেটিও ভেসে যায়। পরে অবশ্য দেখা যায়, বাউড়িয়া জেটির গ্যাংওয়ে এবং পল্টুন গঙ্গায় প্রায় ১০০ ফুট দূরে ছিটকে গিয়েছে। এই ঘটনায় বাউড়িয়া-বজবজ লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল দু’দিন ধরে। বিপাকে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। কিছুটা দূরের থানার ঘাট থেকে ভুটভুটিতে অবশ্য ওই দু’দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চড়িয়ালে যাতায়াত করতে পেরেছেন যাত্রীরা। কিন্তু ভুটভুটিতে লঞ্চের তুলনায় যাত্রী কম ধরে। তাই বহু যাত্রীকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। কেউ ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। যাত্রীদের হয়রানি রুখতেই সোমবার লঞ্চঘাটের পাশের ঘাট থেকে বজবজ পর্যন্ত লঞ্চ চালানো শুরু করল হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতি।
এ দিন ওই ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দু’টি বড় নৌকাকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে তার মাধ্যমেই যাত্রীরা লঞ্চে ওঠানামা করছেন। বজবজের বাসিন্দা তনুশ্রী কর উলুবেড়িয়ার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এ দিন তিনিও ওই ঘাটে এসে নামেন। তাঁর কথায়, “শনিবার খুব সমস্যায় পড়েছিলাম। যাই হোক, এ বার কিছুটা নিশ্চিন্ত হলাম। তবে, লঞ্চঘাট তাড়াতাড়ি সারানো হোক। এখানে বিপজ্জনক ভাবে ওঠানামা করতে হচ্ছে।” একই বক্তব্য আরও অনেকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy