আগাছায় ঢেকে ছিল স্টেডিয়াম ।—নিজস্ব চিত্র।
বেহাল স্টেডিয়ামের কারণে প্রায় ছ’সাত বছর বন্ধ ছিল সব ধরনের খেলাধুলো। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে নতুন রূপে চালু হল উলুবেড়িয়া স্টেডিয়াম। এ বার ওই স্টেডিয়ামে সব ধরনের খেলাধুলোর আসর বসবে বলে আশা ক্রীড়াপ্রেমীদের।
শুক্রবার হাওড়া শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ৮ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকায় তৈরি স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করেন। প্রশাসনের কর্তারা জানান, ফিফার নিয়ম অনুযায়ীই স্টেডিয়ামটি গড়া হয়েছে। সবুজ মাঠটি লম্বায় ১০৫ মিটার, চওড়ায় ৬৮ মিটার। কংক্রিটের গ্যালারি রয়েছে। তৈরি হয়েছে খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম। ফুটবল ছাড়াও ব্যা়ডমিন্টন, ভলিবল, কবাডি খেলার কোর্টও তৈরি হয়েছে। ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড-সহ আরও কিছু উন্নত পরিকাঠামো গড়া হবে। সব মিলিয়ে স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে বলে দাবি করেছে স্টেডিয়াম কমিটি।
২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় এলে উলুবেড়িয়ায় স্টেডিয়াম তৈরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। ওই বছরেই তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসে। স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতর। ২০১২ সালের নভেম্বরে তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র মাঠের চারপাশে পাঁচিল দেওয়ার জন্য ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। ২০১৪ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি স্টেডিয়াম মাঠের শিল্যানাস হয়। কাজের দায়িত্ব পায় পূর্ত দফতর। পুরো বিষয়টি তদারক করার জন্য সাংসদ, বিধায়ক, ও প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে কমিটি তৈরি হয়। কথা ছিল, বছর খানেকের মধ্যে কাজ শেষ হবে। কিন্তু সেই সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ হয়নি।
ভোল বদলের পরে । —নিজস্ব চিত্র।
দেরিতে হলেও শেষ পর্যন্ত যে নতুন রূপে স্টেডিয়ামটি চালু হল, এতেই খুশি উলুবেড়িয়ার ক্রীড়াপ্রেমীরা। হাওড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি আইএফএ-কে অনুরোধ করব, এখানে কলকাতা লিগের খেলা দেওয়ার জন্য।’’ মহমেডানের প্রাক্তন ফুটবলার, ওইদুল ইসলাম উলুবেড়িয়ারই মানুষ। তিনি বলেন, ‘‘উপযুক্ত মাঠ না-থাকায় কয়েক বছর ধরে উলুবেড়িয়া থেকে ভাল মানের ফুটবলার তৈরি হয়নি বললেই চলে। আশা করব, এ বার সেই ফাঁক পূরণ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy