Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

তারিখের পরে তারিখ, কবে হবে স্টেডিয়াম

প্রায় ধ্বংস হতে বসা ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ গত ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার জন্য হাওড়া পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু ফেব্রুয়ারির পরে আরও চার মাস কেটে গিয়েছে।

শম্বুক গতি: ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাজ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র

শম্বুক গতি: ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাজ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র

দেবাশিস দাশ
শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ০১:৪৬
Share: Save:

এ যেন ছোট গল্পের সংজ্ঞা, ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’! হাওড়ার ডুমুরজলার ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অবস্থা এখন এমনই হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রায় ধ্বংস হতে বসা ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ গত ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার জন্য হাওড়া পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু ফেব্রুয়ারির পরে আরও চার মাস কেটে গিয়েছে। এ দিকে গত ৭ জুন শরৎ সদনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী ঘোষণা করেছেন, পরবর্তী লক্ষ্য জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ। ওই সময়েই মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়াম উদ্বোধন করাতে চান তিনি। যদিও বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার কাজের গতি দেখে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে পুরসভার অন্দরেই।

মুখ্যমন্ত্রী গত জানুয়ারিতেই রথীন চক্রবর্তীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, অবিলম্বে ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য তৎক্ষণাৎ পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দও করেন পূর্ত ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় হাওড়ার এক ঠিকাদার সংস্থাকে। সিদ্ধান্ত হয়, তিন হাজার আসনের ইন্ডোর স্টেডিয়ামটি ছ’হাজার আসনে উন্নীত করা হবে। বদলে দেওয়া হবে স্টেডিয়ামের ছাদ, মেঝে, খেলোয়াড়দের ঘর, বিশ্রামকক্ষ, পোশাক বদলের জায়গা-সহ কমিউনিটি হল। থাকবে ভিডিয়োগ্রাফির ব্যবস্থা।

সেই সব পরিকল্পনার কতটা কাজ হয়েছে?

পুরসভা সূত্রে খবর, ছাদে লোহার কাঠামো বসাতেই ওই ঠিকাদার সংস্থা প্রায় আড়াই মাস কাটিয়ে দিয়েছে। বাকি রয়েছে কাঠামোর উপরে করোগেটেড শিট লাগানো, ফল্স সিলিং ও দর্শকাসনের কাজ। এমনকি শীতাতপ যন্ত্র এসে গেলেও তা লাগানো হয়নি। পুর ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, যে কাজ বাকি রয়েছে তা শেষ হতে কম করে আরও তিন মাস লাগবে।

অথচ সময়সীমা মেনে কাজ শেষ করার জন্য শিবপুর আইআইইএসটি থেকে কাজের তালিকাও তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। তবে তা শেষ হল না কেন?

ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে রামরতন চৌধুরী বলেন, ‘‘স্টেডিয়ামের ছাদ আগে ছিল ৬০ ফুট উপরে। এখন তা ৮০ ফুট উঁচুতে করা হয়েছে। এটা করতেই মূলত সময় লেগেছে। তা ছাড়া আর্থিক সমস্যাও রয়েছে। আশা করছি আগামী দেড় মাসে কাজ শেষ হবে।’’ রথীনবাবু বলেন, ‘‘জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহেও অন্তত যাতে কাজ শেষ করা যায়, সেই নির্দেশ সংস্থাটিকে দেওয়া হয়েছে। জুলাইয়ে স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করাই লক্ষ্য।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE