সাঁতরাগাছি ঝিল। —ফাইল চিত্র।
সাঁতরাগাছি ঝিলের মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়ল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। গত ৩ মার্চ শুনানিতে সাঁতরাগাছি ঝিল এবং তার সংলগ্ন এলাকাকে ‘সাইলেন্স জোন’ বলে চিহ্নিত করতে বলেছিল বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে রেল জানায়, ওই এলাকায় তিনটি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। ট্রেন শান্টিং হয়, ফলে হর্ন না বাজালে বিপদ ঘটতে পারে। রেলের দাবি, ১০০ বছর ধরে হর্ন বাজানো হচ্ছে। কিন্তু তাতে পাখিদের ক্ষতি হয়নি।
মামলার আবেদনকারী পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত জানান, রেলের যুক্তি শুনে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, ১০০ বছরে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গিয়েছে। সামান্য শব্দেই পাখিদের সমস্যা হয়। কী ভাবে শব্দমাত্রা কমানো যায়, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে রেলকে। রাজ্যের পরিবেশ সচিব এ দিন হলফনামা দিয়ে জানান, ‘সাইলেন্স জোন’ ঘোষণা করতে কোনও সমস্যা নেই তাঁদের। অবিলম্বে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত।
নিকাশি জল থেকেও সাঁতরাগাছি ঝিল দূষিত হচ্ছিল। এ জন্য নিকাশি শোধন কেন্দ্র গড়ার কথা বলেছিল পরিবেশ আদালত। সেই কেন্দ্রের জমি নিয়েও এ দিন তিরস্কৃত হয়েছে রেল। সুভাষবাবু জানান, ওই কেন্দ্রের জমির জন্য হাওড়া পুরসভার কাছে ১১ কোটি টাকা চেয়েছে রেল। আদালতের মন্তব্য, এটা তো জনস্বার্থের কাজ। এর জন্য বাণিজ্যিক ভাবে দরবার করা হচ্ছে কেন? বিষয়টি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে দেখতে বলেছে আদালত। ঝিল এলাকা থেকে বেআইনি দখলদার তুলতেও রেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy