উদ্বেগ: গ্রামে হাজির চিকিৎসকরা। নিজস্ব চিত্র
সকলেরই উপসর্গ মোটামুটি একই রকম। বমি, পেটের যন্ত্রণা এবং জ্বর।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাগনানের খালোড় গ্রামের শতাধিক মানুষ জন্ডিসে ভুগছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশ কিছু শিশুও রয়েছে। এতদিন গ্রামে স্থানীয় চিকিৎসকদের দেখিয়েই ওষুধ খাচ্ছিলেন আক্রান্তেরা। বৃহস্পতিবার বাগনান-১ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) পলাশ মল্লিকের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল এই গ্রামে যায়। দুর্বল শরীরে বেশ কয়েকজন রোগী সেখানে আসেন।
ওই চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আক্রান্তেরা মূলত পূর্বপাড়া, ব্যানার্জিপাড়া ও সামন্তপাড়ার বাসিন্দা। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রত্যেকের রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। সকলকে ওষুধ এবং করণীয় নিয়ে পরমর্শ দেওয়া হয়েছে। বিএমওএইচ পলাশ মল্লিক বলেন, ‘‘ওই গ্রামের অনেকেই জন্ডিসে আক্রান্ত। কারও আবার জন্ডিসের সঙ্গে অন্য অসুখের উপসর্গ মিলেছে। চিকিৎসক দল ওই গ্রামে গিয়ে কাজ শুরু করেছে।’’
কিন্তু একটি গ্রামের এতজন জন্ডিসে আক্রান্ত হলেন কী ভাবে?
গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পলাশবাবুরা মনে করছেন, দূষিত জল থেকেই এই সংক্রমণ। ওই এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করে। পূর্বপাড়া এলাকার কয়েকজন জন্ডিস আক্রান্ত জানান, কয়েকদিন ধরেই জল কিছুটা ঘোলা আসছিল। তাঁরা সেই জলই খেয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সমীর সামন্ত বলেন, ‘‘ঘোলা জল পড়ার কথা কেউ আমাদের জানাননি। জলের নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। দূষণ হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত ক্লোরিন মেশানো জল সরবরাহ করা হচ্ছে।’’
বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস-সহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারাও ওই চিকিৎসক দলের সঙ্গে এ দিন গ্রামে গিয়েছিলেন। বিডিও জানান, জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক দলকে গ্রামে নামানো হয়েছে। হাতুড়েদের কাছে যাতে কেউ না-যান সেই পরামর্শ-সহ কী করণীয়, তা জানিয়ে এলাকায় মাইক প্রচার করা হবে। আশাকর্মীরা নিয়মিত নজরদারি চালাবেন। তাঁদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy