আলোয়: মোমবাতি জ্বেলে শোকপ্রকাশ চন্দননগরে। নিজস্ব চিত্র
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পুকুরে সাঁতার শিখতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন অয়ন সেন নামে এক তরুণ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোমবাতির আলোয় চন্দননগরের মানুষ স্মরণ করলেন তাঁকে।
অয়ন শহরের কানাইলাল বিদ্যামন্দির (ইংরেজি বিভাগ) থেকে এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের তরফে তাঁর স্মৃতিতে শোকপালন করা হয়। স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় স্কুলের সামনে থেকে মৌনী মিছিল শুরু হয়। অয়নের বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক-সহ অনেকেই প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিলে সামিল হন। রানিঘাট, স্ট্র্যান্ড রোড, বেশোহাটা, তেমাথা হয়ে মরান রোডে অয়নের বাড়ির সামনে মিছিল শেষ হয়। অয়নের আত্মীয়েরাও মিছিলে যোগ দেন। বাড়িতে তাঁর ছবির সামনে মোমবাতি জ্বালানো হয়। ‘আগুনের পরশমণি’ গান গাওয়া হয়। স্ট্র্যান্ডে বিবেকানন্দ মন্দিরের সামনেও মোমবাতি জ্বালানো হয়।
স্কুলের শিক্ষক মানস পল্লে বলেন, ‘‘অয়ন পঞ্চম শ্রেণি থেকে আমাদের স্কুলে পড়েছে। অত্যন্ত ভদ্র এবং বাধ্য ছিল।’’ মিছিলে যাঁরা হাঁটলেন তাঁদের বক্তব্য, অয়ন প্রশিক্ষণ সংস্থায় গিয়ে সাঁতার শিখছিলেন। ফলে, তাঁর সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার দায় ওই সংস্থার উপরেই বর্তায়। কী ভাবে তিনি মারা গেলেন, পুলিশ তার তদন্ত করুক।
গত ৯ মে ঘটনার দিনই শহরের বারাসত এলাকায় ‘চন্দননগর সুইম সেন্টার’ নামে ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অয়নের বাবা দীপক সেন। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। গাফিলতির অভিযোগে ওই রাতেই সংস্থার প্রশিক্ষক মনোজিৎ দে-কে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জামিন পেয়ে যান।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানান, ঘটনার সময় যাঁরা পুকুরে সাঁতার শিখছিলেন এবং পাড়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সংস্থার কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্ট লোকজনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।’’ ক্লাবকর্তারা অবশ্য গাফিলতির অভিযোগ মানেননি। তাঁদের বক্তব্য, ওই ঘটনায় তাঁরাও মর্মাহত। অকারণেই তাঁদের দায়ী করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy