সাজ: মাঠের জমা জল পরিষ্কার করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
রাত পোহালেই দেব সেনাপতির আরাধনায় মাতবে বাঁশবেড়িয়া। রাস্তা জুড়ে সারা আলপনার সাজ। মণ্ডপ, প্রতিমা, আলোর বৈচিত্র্যে তাক লাগাতে প্রস্তুত সব পুজো কর্তারাই। কিন্তু তাল কেটে দিচ্ছে অকালের বৃষ্টি।
মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর তাতেই মুখ গোমড়া পুজো উদ্যোক্তাদের। তাঁদের আশঙ্কা, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে উৎসবের আয়োজন করলেও সবই জলে যাবে। আবার কারও চিন্তা, সময়মতো আদৌ মণ্ডপের কাজ শেষ হবে তো? কারণ, বৃষ্টির জন্য মণ্ডপ বা আলোকশিল্পীরা পুরোদমে কাজ করতে পারেননি। বুধবার অনেক পুজোর উদ্বোধন হলেও অনেক পুজোকর্তাই বাধ্য হয়ে উদ্বোধন পিছিয়ে দিয়েছেন। এমনকী বেশ কয়েকটি রাস্তার আলপনাও ধুয়ে গিয়েছে বৃষ্টিতে।
চলতি বছরে দুর্গাপুজোর সময় থেকেই খলনায়ক হয়েছে নিম্নচাপ। কালীপুজোতে বৃষ্টি রেহাই দেয়নি এতটুকু। কার্তিক পুজোতেও ভোগান্তি সেই বৃষ্টি নিয়েই। বাঁশবেড়িয়ার রেনেসাঁ রাজা কার্তিক পুজোর মণ্ডপে পাট, কলাগাছের ছাল, তালপাতা দিয়ে গ্রামের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পুজো কমিটির কর্তা শরদ্বিন্দু মহাজন বলেন, ‘‘বৃষ্টির জন্য ঠাকুর আনতে সমস্যা হচ্ছে। আবার, মণ্ডপে ঠাকুর না ঢুকলে রাস্তাও আলো দিয়ে সাজানো যাচ্ছে না।’’
কুন্ডুগলিতে মিলনীর সন্তোষী পুজোর মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে ধান-তুষ দিয়ে। বৃষ্টির জন্য বুধবার উদ্বোধন করা যায়নি। পুজো কমিটির সদস্য দেবাশিস দাস বলেন, ‘‘বৃষ্টির জন্য প্রতিমা আনা যায়নি। মণ্ডপশিল্পীরা সারা দিন বসে কাটিয়েছেন। বৃষ্টিতে কাজে হাত দিতে পারেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy