জেটি ভাঙার পরে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছিল ছোট্ট আদিল। তিন সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পরে বুধবার হুগলির ভদ্রেশ্বরের ইএসআই হাসপাতাল ঘাট এলাকা থেকে দেহটি উদ্ধার করল পুলিশ।
গত ২৬ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায় জোয়ারের ধাক্কায় একটি অস্থায়ী বাঁশের জেটি ভেঙে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছিলেন অন্তত ৪০ জন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলের ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে অনেককেই জীবিত উদ্ধার করে। শেষ পর্যন্ত নিখোঁজ ছিলেন ১৯ জন। তার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আদিলের দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৩ জন।
বাঁশবেড়িয়ার ৩ নম্বর গুমটি এলাকার বাসিন্দা আট বছরের আদিল তার বাবা, দিদা এবং বোনের সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে যাওয়ার জন্য তেলেনিপাড়া ঘাটে নেমেছিল। তার পর সেই জেটি পেরোনোর সময়েই সেটি ভেঙে দুর্ঘটনা হয়। তার বাবা, দিদা এবং বোনকে উদ্ধার করা গেলেও আদিলের খোঁজ মেলেনি। এ দিন দুপুরে ভদ্রেশ্বরের ইএসআই হাসপাতাল ঘাটের সামনে তার দেহটি ভেসে আসে। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। আদিলের পরিবার এসে দেহটি শনাক্ত করেন। এ দিন আদিলের বাবা জামিল খানের ক্ষোভ, ‘‘সরকারের উদাসীনতার জন্যই ভয়ানক দুর্ঘটনায় এতগুলো মানুষের প্রাণ চলে গেল।’’
এ দিনই গঙ্গায় ভেসে আসা এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে চন্দননগরের রানি ঘাটে স্থানীয় বাসিন্দারা স্নান করতে গিয়ে এক মহিলার দেহ ভাসতে দেখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, মহিলার আনুমানিক বয়স ৩৫ বছরের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত ওই মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। তিনি জেটি দুর্ঘটনায় তলিয়ে গিয়েছিলেন কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy