Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্যকর্মীকে ‘মার’, অভিযুক্ত কাউন্সিলর

হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। শনিবার, হাওড়া পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। আহত ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৮ ০০:৫৩
Share: Save:

হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। শনিবার, হাওড়া পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। আহত ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এ দিন ওই কাউন্সিলর মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩১মে মধ্য হাওড়ার ফজির বাজার সংলগ্ন ওই ওয়ার্ডে একটি স্বাস্থ্য শিবির হওয়ার কথা। পুরসভার তরফে ওই শিবিরের ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে দেখভাল করছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী অঞ্জন আদক। অভিযোগ, বেলা ১১টা নাগাদ অঞ্জনবাবু যখন শিবপুর থানার কাছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরে কাজে যোগ দিতে আসছিলেন তখন তাঁকে সাইকেল থেকে নামিয়ে আচমকা মারধর শুরু করেন ওই এলাকার কাউন্সিলর আসরাফ জাভেদ। অভিযোগ, তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন সহকর্মীরা।

এ দিন হাওড়া জেলা হাসপাতালের মেল মেডিসিনের ৫৬ নম্বর বেডে শুয়ে অঞ্জনবাবু জানান, পুরসভার অফিসে যোগ দেওয়ার জন্য শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ তিনি যখন অফিসে যাচ্ছিলেন তখন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসরফ জাভেদ জিটি রোডের উপরে তাঁকে থামান। তাঁর কাছে জানতে চান, স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যাপারে খোঁজ নিতে বারবার ফোন করার পরেও তিনি ফোন ধরছিলেন কেন? অঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘প্রশ্ন করার পরেই আমাকে রাস্তায় ফেলে লাথি, ঘুষি, চড় মারতে শুরু করেন ওই কাউন্সিলর। আমি ওঁর কাছে জানতে চাই শুধু শুধু মারছেন কেন? কিন্তু কাউন্সিলর কিছু বলতে চাননি।’’

মারধরের খবর ছড়াতেই পুরসভায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকশো মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী পুরসভায় এসে নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে অঞ্জনবাবুকে দেখতে যান হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ ভাস্কর ভট্টাচার্য। তিনি জানান “আমরা ওই পুরকর্মীকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”

আসরাফ জাভেদ অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই পুরকর্মীর বিরুদ্ধে এলাকার বাসিন্দাদের নানা অভিযোগ রয়েছে। বারবার ফোন করা হলেও এ দিন তিনি ফোন ধরেননি। তাই ওঁকে দেখতে পেয়ে কেন ফোন ধরছেন না জানতে চাই। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে চোটপাট শুরু করেন। তখন আমি শুধু ধাক্কা দিয়েছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE