জয়: ট্রফি দেওয়া হচ্ছে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়ের হাতে। নিজস্ব চিত্র
কয়েক মাস পরই লোকসভা ভোট। তার পরের বছর পুরসভা নির্বাচন। আর তার পরে বিধানসভা। এই আবহে নতুন ভোটারদের নাম তালিকাভুক্ত করতে স্কুলপড়ুয়াদের নিয়ে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করল শ্রীরামপুর মহকুমা প্রশাসন।
বছর কয়েক আগে নির্বাচন কমিশন নতুন ভোটারদের উৎসাহিত করতে ফুটবলকে হাতিয়ার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ‘চলো খেলি, নাম তুলি’— এই স্লোগান স্থির করা হয়। এই স্লোগানকে সামনে রেখেই শুক্রবার শ্রীরামপুর স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। যোগ দিয়েছিল শ্রীরামপুরের মলিনা লাহিড়ি বয়েজ অ্যাকাডেমি এবং কোন্নগরের রাজেন্দ্র স্মৃতি বিদ্যালয়। এ বারের অনূর্ধ্ব ১৭ সুব্রত কাপ প্রতিযোগিতায় শ্রীরামপুর মহকুমার এক নম্বর জোনে এই দুই দল ফাইনালে পৌঁছেছিল। ফাইনালে শ্রীরামপুরের স্কুলটি টাইব্রেকারে রাজেন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
এ দিনের খেলায় রাজেন্দ্র স্মৃতি বিদ্যালয় জিতল ৩-১ গোলে। খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুভজিৎ দে’র জোড়া গোলে তারা এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধেই মলিনা লাহিড়ি বয়েজ অ্যাকাডেমির সমীরণ দাস ফ্রি-কিক থেকে একটি গোল শোধ করে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধে কোন্নগরের দলটির হয়ে ব্যবধান বাড়ায় লক্ষ্মণ মাঝি। দু’টি দলকেই প্রশাসনের তরফে ট্রফি দেওয়া হয়। ছিলেন মহকুমাশাসক (শ্রীরামপুর) তনয় দেব সরকার, শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়ার বিডিও তমালবরণ ডাকুয়া, মহকুমা বিদ্যালয় ক্রীড়া পর্ষদের কর্মকর্তা প্রমুখ। প্রশাসনিক দফতরের কর্মীরা ভোটে নাম তোলার জন্য ফর্ম নিয়ে মাঠে হাজির ছিলেন। খেলার পাশাপাশি ভোটদানের মাধ্যমে গণতন্ত্রে যোগদান এবং তালিকায় নাম তোলার জন্য কী করতে হবে, সে ব্যাপারে প্রচার চলল। খেলার শেষে দু’দলের খেলোয়াড়দের হাতে ভোটে নাম তোলার নির্দিষ্ট ফর্ম তুলে দেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আঠারো বছরে একটি ছেলে বা মেয়ে ভোটাধিকার লাভ করে। সে কারণেই আঠেরোর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা পড়ুয়াদের নিয়ে খেলার আয়োজন এবং নির্বাচনে সামিল হওয়া নিয়ে প্রচার চালানো হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy