নিহত: বাবলা দাস। নিজস্ব চিত্র
এক মাসও পেরোল না। ফের দুষ্কৃতী-আতঙ্ক চন্দননগরে। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের হরিদ্রাডাঙা এলাকায় চুঁচুড়ার এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ মিলল।
পুলিশ জানায়, নিহতের নাম বাবলা দাস (২৫)। তাঁর বাড়ি চুঁচুড়ার ময়নাডাঙা এলাকায়। বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন পেশায় রং-মিস্ত্রি ওই যুবক। তাঁর বুকের ডান দিকে গুলি বিঁধেছে। ডান পায়েও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর দুই পায়ে মোজা থাকলেও জুতো ছিল না। কিন্তু কী কারণে বাবলাকে খুন করা হল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। অন্ধকারে নিহতের পরিবারের লোকেরাও। তবে, তদন্তকারীদের অনুমান, কোনও পুরনো বিবাদের জেরে তিনি খুন হতে পারেন। অন্যত্র খুন করে যুবকের দেহটি হরিদ্রাডাঙায় ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা।
চন্দননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মনে হচ্ছে, খুব কাছ থেকে দুষ্কৃতীরা ওই যুবককে গুলি করেছে। খুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তল্লাশি চালিয়ে খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।’’ নিহতের স্ত্রী রুবি দাস বলেন, ‘‘কাজ থেকে ফিরে ও কাছেই দিদির বাড়ি গিয়েছিল। রাত ১১টা নাগাদ ফেরে। তারপরে ফের বেরোয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরবে বলেছিল। আর ফিরল না। ওর কোনও শত্রু ছিল বলে জানতাম না।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া স্টেশন সংলগ্ন লেনিন নগরে বাবলার দিদি ফুলি দাসের বাড়ি। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ কিছুক্ষণের মধ্যে ফেরার কথা বলে বাবলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু আর ফেরেননি। রাত বাড়ায় পরিবারের সদস্যেরা চিন্তায় পড়েন। সকালে পড়শিদের সাহায্য নিয়ে বাবলার ছবি দেখিয়ে খোঁজাখুঁজিও শুরু করেন বিভিন্ন জায়গায়। ততক্ষণে চন্দননগরের হরিদ্রাডাঙার মান্নাপুকুর এলাকার রাস্তার পাশে জঞ্জালের মধ্যে নীল জিনস্ ও কালো সোয়েটার পরা চাদর চাপা এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকার কথা জানাজানি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে পাঠায়। পরে বাবলার পরিবারের লোকজন এসে দেহটি শনাক্ত করেন।
নিহতের দিদি বলেন, ‘‘বুধবার সন্ধ্যায় ভাই বাড়িতে এসেছিল। অত রাতে ঠান্ডার জন্য ফিরতে বারণ করেছিলাম। শোনেনি। কারা কোথায় ওকে ধরল, বুঝতে পারছি না। ওকে কোনও দিন কারও সঙ্গে ঝগড়া করতে দেখিনি।’’
গত কয়েক মাস ধরেই এ শহরে দুষ্কৃতী-আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। গত ২৩ নভেম্বর রাতে জেলেপাড়ার কাছে বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছিল এক দুষ্কৃতীরা। জখম হয়েছিলেন এক সাধারণ মানুষ। এ দিন হরিদ্রাডাঙায় বাবলার দেহ মেলার পরে সেই আতঙ্ক ফিরে এল। শহরবাসীর একাংশ ফের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy