মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতক্ষণ নবান্নে থাকবেন ডানকুনি টোলপ্লাজার কর্মীরা তাঁর সমর্থনে ততক্ষণই ডানকুনিতে অবস্থান বিক্ষোভ চালু রাখবেন। বস্তুত, শুক্রবার দিনভর ডানকুনি টোলপ্লাজার কর্মীরা মিছিল এবং অবস্থান বিক্ষোভ চালান। সেনা আর রাজ্য প্রশাসন বির্তকে সারাদিনই ডানকুনি টোলপ্লাজা সরগরম ছিল। এদিকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অভয় দিয়ে বলেছেন, খুচরো টাকা নিয়ে কোনও সমস্যা ডানকুনি টোলপ্লাজায় হবে না। কেন না কার্ডে টোল দেওয়া যাবে। ডানকুনির ১২টা কাউন্টারের মধ্যে শুক্রবার রাত থেকেই সেখানে ৩টি কাউন্টারে পে-টিএম ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। তার উপর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে টোলপ্লাজার প্রতিটি কাউন্টারে পর্যাপ্ত খুচরো টাকা সরবরাহ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু ইস্তক রাজ্যের সব টোলপ্লাজার মতোই টোল নেওয়া বন্ধ ছিল ডানকুনিতে। হুগলির ডানকুনি এবং বর্ধমানের পালশিট এই দুই টোলপ্লাজাতেই প্রতিদিন ৬০ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়ে থাকে। ক্ষতি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকার চাইছিল, যত দ্রুত সম্ভব টোল ব্যবস্থা ফের চালু করতে। তারা পরিস্থিতি কিছুটা থিতিয়ে যাওয়ার সময় দিতে চাইছিল। কিন্তু বাস্তব হচ্ছে, খুচরো সংকট দ্রুত কমে আসার আপাতত কোনও লক্ষণ নেই। বরং ঠিক উল্টো। এদিকে মাস পয়লা সমস্যাও বড় আকার নিয়েছে। বাস্তব এই চিত্র মাথায় রেখেই দ্রুত টোল ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এর মাঝেই সেনা নামানো নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে চাপান-উতোরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে এক কর্তা জানান, যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দিতে এনএইচআই কর্তৃপক্ষ তৈরি। হুগলি এবং বর্ধমানের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ডানকুনিতে টোলপ্লাজা কর্মচারী সংগঠনের নেতা সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সমস্যা না হলেই ভাল। কিন্তু টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষ খুচরো টাকার জন্য শ্রীরামপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে টোলপ্লাজার কর্মীদের পাঠিয়ে ছিলেন। সেখানে দু’দিন ঘুরেও টাকা মেলেনি। টোলপ্লাজার কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু খুচরো টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন সেটাই ভরসা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy