চলছে উদ্ধার কাজ। হাওড়ার জয়পুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় শনিবার হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় মৃত্যু হল দু’জনের। আহত হয়েছেন ২০ জন।
শনিবার দুপুরে উলুবেড়িয়ায় মুম্বই রোডের পাশে শ্মশানতলা এলাকায় লরির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। দুর্ঘটনার পরে ঘণ্টাখানেক মুম্বই রোড অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একটি অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দেবমাল্য মিত্র (১৩)। বাড়ি উলুবেড়িয়ার নতিবপুর এলাকায়। ওই কিশোর তাঁর বাবার সঙ্গে শ্মশানতলার কাছে মুম্বই রোডের ধারে দাঁড়িয়েছিল। তখন কলকাতাগামী একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দেবমাল্য-সহ দু’জনকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। অন্য আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘাতক লরির চালককে ধরে মারধর শুরু করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চালককে উদ্ধার করে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর করে। মুম্বই রোড অবরোধ করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
অন্য দিকে, শনিবার সন্ধ্যায় পুকুরে বাস উল্টে এক জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৯ জন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরের ধাঁইপুরে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় অমরাগড়ি বিবি ধর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আহতদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ইয়াকুব আলি (৫৩)। বাড়ি উদয়নারায়ণপুরের শিবপুরে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, উলুবেড়িয়া-উদয়নারায়ণপুর রুটের বাসটি আমতা-উদয়নারায়ণপুর রোড ধরে উদয়নারায়ণপুরের দিকে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বাসটি রাস্তার পাশের পুকুরে উল্টে যায়। পুকুরে বেশি জল না থাকলেও বাসের দরজাটি পুকুরে ডুবে যাওয়ায় যাত্রীরা আটকে পড়েন। যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে উদ্ধারে হাত লাগান। পুলিশ আসে। বাসের যাত্রী ও পুলিশের অনুমান, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসকে জায়গা দিতে গিয়েই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy