জিরাটে বিডিও অফিসে ঝামেলার এ ছবিই দেখা গিয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
ত্রাণের ত্রিপল নিয়ে বচসা শুরু হয়েছিল। সেই বচসার সময় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির ২ কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। হুগলির বলাগড় ব্লকের এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন বিডিও নীলাদ্রী সরকার। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল। তবে হুগলির তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, দলের কর্মাধ্যক্ষ হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলাগড়ের সবুজ দ্বীপ পরিদর্শনে যান। সবুজ দ্বীপ পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে জেলাশাসক, বলাগড় ব্লকের বিডিও-সহ অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন। সবুজ দ্বীপে যাওয়ার সময় পঞ্চায়েত সমিতির বন কর্মাধ্যক্ষ স্বপন মণ্ডল এবং পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কাশীনাথ হালদার বলাগড় ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে আধিকারিক (বিডিএমও) শ্রীমন্ত দে-র কাছে ত্রিপল চাইতে যান। প্রসঙ্গত, জেলায় রুটিনমাফিক ত্রাণের জন্যই ওই ত্রিপল চাওয়া হয়েছিল। সবুজ দ্বীপ থেকে পরিদর্শন সেরে কর্মাধ্যক্ষদের ত্রিপল দেওয়ার বিষয়টি দেখবেন বলে জানান শ্রীমন্ত। তবে স্বপন তা সে সময়ই দেওয়ার দাবি করেন। বিষয়টি তখনকার মতো মিটে গেলেও পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী ফেরার পর জিরাটে বিডিও অফিসে ৩ জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়।
সবুজ দ্বীপ থেকে শ্রীমন্ত ফিরতেই ৩ জনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। তর্কাতর্কি চলার সময় কাশীনাথ তাঁকে গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। এমনকি, বলাগড়ে ঢুকতে দেবেন না বলে শ্রীমন্তকে হুমকি দেন বলেও অনেকের দাবি। অভিযোগ, এর পরেই শ্রীমন্তকে মারধর করেন স্বপন এবং কাশীনাথ। বিডিও অফিসে উপস্থিত কয়েক জন এই ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করেন।
এই ঘটনায় বলাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নীলাদ্রী। গোটা ঘটনায় কার্যত জেলা তৃণমূলের মুখ পুড়েছে। তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “ঘটনাটা আমি শুনেছি। ইতিমধ্যেই এফআইআর হয়েছে। সে অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। আইন হাতে নেওয়া উচিত নয়। দলের কর্মাধ্যক্ষ হলেও আইন সকলের জন্য সমান।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy