লাভলি মৈত্রের তদারকিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে সোনারপুরের বাসিন্দাদের। —নিজস্ব চিত্র।
করোনা থেকে বাঁচতে টিকা নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু শরীরে ঢুকে গিয়েছে ভুয়ো টিকা। তা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এমন পরিস্থিতিতে সোনারপুর থেকে কসবার ওই শিবিরে টিকা নেওয়া মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে তৎপর হল প্রশাসন। সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্রের উদ্যোগে শনিবার গ্রামীণ হাসপাতালে সেখানকার ভুয়ো টিকাপ্রাপক ২০০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হল। তবে কারও শরীরে কোনওরকম সমস্যা পাওয়া যায়নি আপাতত। আগামী কয়েক দিন সেখানে বাকি টিকাপ্রাপকদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে।
করোনা কালে দীর্ঘদিন ধরেই সোনারপুরে যাতায়াত ছিল ভুয়ো টিকা-কাণ্ডের হোতা অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। শুরুতে মাস্ক, স্যানিটাইজারের মতো সরঞ্জাম সরবরাহ করলেও, পরবর্তী কালে তিনিই কসবায় ভুয়ো টিকার শিবির খুলে বসেন। দুঃস্থ এবং দরিদ্র মানুষদের সেখানে গিয়ে টিকা নিতে বলেন তিনি। তাঁর কথায় ভরসা করেই দফায় দফায় সোনারপুর থেকে কসবায় টিকা নিতে যান প্রায় ৫০০ মানুষ। তার পর ১০ দিন কেটে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তার মধ্যেই ভুয়ো টিকা-কাণ্ড সামনে আসায় উৎকণ্ঠায় ভুগতে শুরু করেন ভুয়ো টিকাপ্রাপকরা। তাতেই সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে উদ্যোগী হন লাভলি।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করেছেন লাভলি। তিনি বলেন, ‘‘সোনারপুরের বাসিন্দারা কসবায় টিকা নিয়েছেন জানতে পেরেই থানায় অভিযোগ জানাই। তাঁদের শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে কি না, জামতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাকরি। তবে আপাতত সকলেই সুস্থ রয়েছেন। সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি আমি। দেবাঞ্জন দেব অত্যন্ত খারাপ লোক। এঁর শাস্তি হওয়া উচিত।’’
ভুয়ো টিকার বিষয়টি সামনে আসতেই লাভলির সঙ্গে এ মঞ্চে দেবাঞ্জনের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়েছিল। তাতে আইএএস অফিসার হিসেবে দেবাঞ্জনের পরিচয় দেন লাভলি। দেবাঞ্জনকে ‘স্যর’ বলেও সম্বোধন করতে শোনা যায় লাভলিকে। যদিও ভুয়ো টিকার বিষয়টি জানতে পেরেই দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন লাভলি। তিনি জানিয়েছেন, দলীয় অনুষ্ঠানেই প্রথম ও শেষ বার দেবাঞ্জনের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। অভিযুক্তকে আগে থেকে চিনতেন না তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy