—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দুর্গাপুজো শেষ। জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে চন্দননগরে। হাতে ২০-২২ দিন। আরও এক উৎসবের জোয়ারে মানুষকে ভাসাতে তৈরি হচ্ছে গঙ্গাপাড়ের শহর। মণ্ডপের কাজ এগোচ্ছে। প্রতিমার খড় বাঁধা হচ্ছে। বাহারি আলো তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পী। করোনা আবহে ২০২০ এবং ’২১ সালে বিসর্জনের বিখ্যাত আলোক-শোভাযাত্রা বন্ধ ছিল। গত বছর পুরনো ছন্দে ফিরেছিল শোভাযাত্রা। এ বারেও হবে। তবে এ বার দশমী নয়, শোভাযাত্রা হচ্ছে একাদশীতে।
কেন?
এ বার ষষ্ঠী ও সপ্তমী তিথি একই দিনে। পুজোকর্তাদের বক্তব্য, তিথি অনুযায়ী শোভাযাত্রা করলে মানুষ এক দিন কম ঠাকুর দেখতে পারবেন। তাঁরা তা চান না। তাঁরা চান, অন্যান্য বারের মতোই চার দিন ধরে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে ঠাকুর দেখুন সবাই।
প্রথা অনুযায়ী অনেক বারোয়ারির কাঠামো পুজো হয়েছে দুর্গাপুজোর দশমীতে। কোনও কোনও বারোয়ারির কাঠামো পুজো হবে কাল, লক্ষ্মীপুজোর দিন। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির সাধরণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ জানান, চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৭৭টি বারোয়ারি পুজো রয়েছে কমিটির আওতায়। ১৯ নভেম্বর ষষ্ঠী। ওই দিনই সপ্তমী। দশমী ২২ নভেম্বর। যে সমস্ত পুজো শোভাযাত্রায় যোগ দেবে না, তারা ২৩ নভেম্বর, অর্থাৎ, একাদশীর সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেবে। শোভাযাত্রায় থাকবে ৬২টি পুজো কমিটি। তার মধ্যে ৫টি পুজোর বিশেষ বার্ষিকী। শোভাযাত্রায় যোগদানকারী পুজোর প্রতিমা ভাসান শুরু হবে দ্বাদশীর সকালে।
শুভজিৎ বলেন, ‘‘মানুষ আনন্দ পাবেন, এমন অনেক চমক চন্দননগর জুড়ে থাকবে। সেগুলি ক্রমশ প্রকাশ্য। শোভাযাত্রা একাদশীতে নিয়ে যাওয়ার কারণ হল, মানুষ যেন এক দিনও ঠাকুর দেখা থেকে বঞ্চিত না হন।’’
তবে, চন্দননগরবাসীর একাংশ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। শহরের বাসিন্দা, প্রাবন্ধিক দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘পুজো মূলত সপ্তমী থেকেই ধরা হয়। দশমীর পরে তো মানুষ কাজে ব্যস্ত হবেন। আরও একটা দিন উৎসবে মেতে থাকলে মানুষের কাজের সমস্যা হবে। নির্দিষ্ট দিনে শেষ করা গেলেই ভাল হত। আগে কখনও একাদশীতে শোভাযাত্রা হয়নি।’’
শুভজিতের ব্যাখ্যা, অন্যান্য বার ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী— এই চার দিন মানুষ ঠাকুর দেখেন। এ বারেও চার দিনই রাখা হচ্ছে। দিনসংখ্যা আদপেই বাড়ানো হয়নি। একই যুক্তি চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তীরও। তাঁর বক্তব্য, পঞ্জিকা মতে নবমী এবং দশমী তিথিতেই জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। চন্দননগরের ক্ষেত্রে এটা বিশেষ যে, চার দিন হয়।
মেয়রের কথায়, ‘‘এখন চার দিনেও সীমাবদ্ধ নেই, তৃতীয়া থেকেই মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়বেন। পুজোর সময় একই আছে। চার দিন পুজোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে একাদশীতে শোভাযাত্রার সিদ্ধান্ত যুক্তিগ্রাহ্য। কেন্দ্রীয় কমিটি, প্রশাসনের সঙ্গে বসেই দিন স্থির হয়েছে। কিছু মানুষ সমালোচনা করতেই পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy