সরানো হল সুকান্ত মজুমদারের ধর্না মঞ্চ। — নিজস্ব চিত্র।
হুগলির শ্রীরামপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ধর্নার অনুমতি দিল না পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে সুকান্তর ধর্না মঞ্চ খুলেও দেওয়া হল। সোমবার শ্রীরামপুরের মাহেশ এবং রিষড়ায় জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। সোমবার রাতে রিষড়া স্টেশনে অশান্তির পর মঙ্গলবার বাড়ানো হয়েছে ১৪৪ ধারার পরিধি। শ্রীরামপুরেও জারি হল ১৪৪ ধারা।
সোমবার সুকান্ত যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রিষড়ায়। কিন্তু যাওয়ার সময় তাঁকে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকে দেয় পুলিশ। তার প্রতিবাদে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় বসে ধর্না শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান চালানোর পর তা তুলে নেন তিনি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করেন, মঙ্গলবার শ্রীরামপুর বটতলায় ফের ধর্নায় বসবেন। প্রয়োজনে অনির্দিষ্ট কাল ধর্না চালানোর হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। এর মধ্যেই সোমবার রাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় রিষড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। স্টেশনের কাছে চার নম্বর রেলগেট এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। ওই কাণ্ডের জেরে রাত ১০টা থেকে ঘণ্টাখানেকের বেশি বন্ধ থাকে হাওড়া-ব্যান্ডেল মেন লাইনে ট্রেন চলাচল। চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এর পর মঙ্গলবার সকালে শ্রীরামপুরের বটতলা এলাকায় সুকান্তর যে ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল, তা সরিয়ে দেয় পুলিশ। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিডি) ইসরাত জাহান জানিয়েছেন, ওই ধর্নার কোনও অনুমতি নেই। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই কারণে ধর্নার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপির অবশ্য দাবি, ইমেল মারফত তাঁরা ওই ধর্না চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি নিয়েছেন। এ কথা জানিয়েছেন বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মোহন আদক। তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা না করেই ধর্না দিতে চান তাঁরা। এ নিয়ে শ্রীরামপুর থানাতেও যান বিজেপি নেতারা। তবে সোমবার রাতের ঘটনার পর মঙ্গলবার থেকে রিষড়া এবং শ্রীরামপুর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি ছিল শ্রীরামপুরের মাহেশ এবং রিষড়া এলাকায়। ১৪৪ ধারার পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে এলাকার নিরাপত্তাও। জায়গায় জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চলছে কড়া নজরদারি। স্টেশন চত্বরেও রয়েছে পুলিশি নজরদারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy