উদ্ধার হওয়া বোমা-গুলি। নিজস্ব চিত্র।
তৃতীয় দফার ভোটের আগে প্রচারপর্ব চরমে উঠেছে হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে। ভোটের আগে সেই জেলার ডানকুনি থেকে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ প্রচুর গুলি উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতাগামী বাস থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন সিআইডি এবং চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। তার কাছ থেকেই ৭টি ওয়ান শটার বন্দুক, একটি সেভেন এম এম পিস্তল এবং ২০০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত ব্যক্তির নাম ব্রিজকিশোর তিওয়ারি। ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলার রেহেলা থানার তোরলা গ্রামের বাসিন্দা সে। কোথায়, কী উদ্দেশ্যে অস্ত্রগুলি সে নিয়ে যাচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় এলাকায় শুক্রবার প্রচুর বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আগামী ১০ এপ্রিল ওই এলাকায় চতুর্থ দফার ভোট। তার আগে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় একে অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছে আইএসএফ এবং তৃণমূল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় বোমা মজুতের খবর আসতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে পদ্মপুকুরের মাঠে অভিযান চালিয়ে একটি ড্রামের ভিতর থেকে ৪১ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতেই বোমা মজুত করে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আইএসএফ নেতা মিন্টু শিকারী বলেছেন, ‘‘ভোটে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই বোমাগুলি মজুত করেছিল৷’’ এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা বাহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের নামে অপপ্রচার করছে আইএসএফ। ওরা বোমা মজুত করে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল। ভাঙড়ের মানুষ সব জানেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy