(বাঁ দিক থেকে) শরদ পওয়ার, প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী এবং সঞ্জয় রাউত। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র ভরাডুবির জের। রাজ্যসভায় প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ হল শরদ পওয়ার, সঞ্জয় রাউতদের। পুনরায় সংসদের উচ্চকক্ষে নির্বাচিত হতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন না-ও পেতে পারেন তাঁরা। অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রে বিপুল সাফল্যের জেরে রাজ্যসভায় শক্তি বৃদ্ধির সুযোগ থাকছে এনডিএ-র সামনে।
রাজ্যসভার সাংসদদের কার্যকালের মেয়াদ ছ’বছর। সেই হিসাবে ২০২৬ সালের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ থাকবেন এনসিপি (এসপি) নেতা শরদ পওয়ার। শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউতের সাংসদ পদের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত। পওয়ারের মতোই ২০২৬ সালের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যসভায় সাংসদ থাকবেন উদ্ধবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী। এই তিন জনের মধ্যে একমাত্র পওয়ারই জানিয়েছিলেন যে, সাংসদ হিসাবে রাজ্যসভায় এটাই তাঁর শেষ দফা।
মহারাষ্ট্র থেকে মোট ১৯ জনকে রাজ্যসভায় পাঠানো যায়। বিধানসভার গঠন অনুসারে বর্তমানে মহারাষ্ট্র থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের তিন জন রাজ্যসভার সাংসদ আছে। বিজেপির আছে সাত সাংসদ। আর শিবসেনার এক, শিবসেনা (ইউবিটি)-র তিন,এনসিপি (শরদ পওয়ার)-এর দুই এবং রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়া (অটওয়ালে)-র এক সাংসদ রয়েছে।
২৮৮টি বিধানসভা আসনবিশিষ্ট মহারাষ্ট্রে বিজেপি, শিবসেনা (শিন্ডে) এবং এনসিপির ‘মহাজুটি’ জোট ২৩৫টি আসনে জয়ী হয়েছে। আর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’ পেয়েছে ৪৯টি আসন। পাটিগণিতের নিয়মেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করতে পারবে। অন্য দিকে, বিধায়কদের এককাট্টা রাখতে পারলে এবং তিন দলের জোট অটুট থাকলে বিরোধীরা এক জন, বড়জোর দু’জনকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারবেন। বর্তমানে সংসদের উচ্চকক্ষে বিজেপির ৯৫ জন সাংসদ রয়েছেন। এনডিএ-র মোট সাংসদ সংখ্যা ১১২। রাজ্যসভায় ছ’জন মনোনীত সদস্য সচরাচর শাসকদলকেই সমর্থন করে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির সুযোগ বিল পাশ করানোর ক্ষেত্রে বিজেপিকে সুবিধাজনক জায়গায় রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy