নিশ্চিন্দার আনন্দনগরের দুই গৃহবধূ এবং সাত বছরের শিশুর নিখোঁজ রহস্যের কিনারা করে ফেলল পুলিশ।
নিশ্চিন্দার আনন্দনগরের দুই গৃহবধূ এবং সাত বছরের শিশুর নিখোঁজ রহস্যের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। গত সপ্তাহে বুধবার কেনাকাটা করতে বেরিয়ে তাঁরা নিখোঁজ হয়েছিলেন। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁচ দিন পর নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ জানতে পারল, ওই দিনই মুর্শিদাবাদে দুই পরিচিতের কাছে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। ওই দুই পরিচিত সম্পর্কে তাঁদের ‘প্রেমিক’ বলেই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
গত ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১২টা নাগাদ শীতের পোশাক কেনাকাটা করতে বাড়ি থেকে বেরনোর পর থেকে আর সন্ধান মেলেনি বধূ অনন্যা কর্মকার, তাঁর জা রিয়া কর্মকার এবং রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুশ কর্মকারের। এর পরই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে কর্মকার পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিখোঁজদের শেষ মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন শ্রীরামপুরের রয় এমসি ভাদুড়ি লাহিড়ী স্ট্রিট। যদিও সেখানে কারও হদিশ পাওয়া যায়নি। এর পর নিখোঁজদের কল লিস্টের সূত্র ধরেই মিলল সাফল্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদে যে দুই পরিচিতের কাছে গিয়েছিলেন অনন্যা এবং রিয়া, তাঁদের নাম সুভাষ ও শেখর। মাস ছয়েক আগে তাঁরা নিশ্চিন্দায় কর্মকার বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এসেছিলেন। সেই সময়ই সুভাষ ও শেখরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে অনন্যা ও রিয়ার। ধীরে ধীরে প্রণয়ের সম্পর্কও গড়ে ওঠে।
কল লিস্ট খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, নিখোঁজ হওয়ার দিন একটি অচেনা নম্বর থেকে বেশ কয়েক বার ফোন এসেছিল কর্মকার পরিবারের বড় বধূ অনন্যার ফোনে। ওই নম্বরটি ছিল সুভাষের। এর পরই রবিবার মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকায় সুভাষের বাড়িতে অভিযান চালায় নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, দুই গৃহবধূ মুর্শিদাবাদে আসার এক দিন পরেই তাঁরা সকলে মুম্বই চলে গিয়েছেন। আপাতত মুম্বইয়ে তাঁদের বর্তমান অবস্থান জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। বাণিজ্যনগরীতে একটি বিশেষ দলও পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy