ধ্বংস: ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়া এলাকার সেই কাঁচা রাস্তায় ধস নেমেছে। বৃহস্পতিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
গত এক বছরে বিধায়ক তহবিলের একটি টাকাও রাস্তার জন্য বরাদ্দ না-করার অভিযোগ আগেই উঠেছিল হাওড়ার শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ওই কেন্দ্রের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে পাকা রাস্তা করে দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে বেনারস রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসী। ওই তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির প্রতি তাঁদের এই দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মহিলা ও প্রবীণরা। পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে ঘণ্টা দেড়েক পরে অবরোধ তুলতে সক্ষম হয়।
হাওড়া পুরসভার সংযুক্ত এলাকা বলে চিহ্নিত ৫০ নম্বর ওয়ার্ড। সেই এলাকার চৌধুরীপাড়ায় পোলট্রি পুকুর বলে পরিচিত একটি দেড় বিঘা জলাশয়ের পাশ দিয়ে গিয়েছে তিনটি পাড়ার একটিই কাঁচা রাস্তা। আশপাশের অনেক রাস্তার মতো তিন দশকে ওই রাস্তাটিও পাকা হয়ে ওঠেনি। অভিযোগ, ওই রাস্তার পাশের পুকুরটি ভরাটের জন্য জল পাম্প করে তোলা হচ্ছিল। সেই কাজ চলাকালীন এ দিন সকালে রাস্তায় বড় ধস নামে। তখনই পাকা রাস্তার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, সম্প্রতি এক প্রোমোটার পুকুরটি লিজ় নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাম্প করে জল তোলাচ্ছিলেন। যার প্রতিবাদ করেন তাঁরা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাস্তায় বিরাট ধস নেমে যাতায়াত প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। দু’টি বাড়িতে ফাটল ধরায় আতঙ্ক ছড়ায়।
ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা একজোট হয়ে কোনা হাইস্কুলের সামনে বেনারস রোড অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, স্থানীয় বিধায়ককে ঘটনাস্থলে এসে রাস্তা পাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দা সুজয় ভৌমিক বলেন, ‘‘কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার জন্য স্থানীয় বিধায়ক মনোজ তিওয়ারিকে বার বার জানানো হয়েছে। পুরসভাকেও চিঠি দিয়েছি।’’
তিন দশকেও কেন রাস্তাটি পাকা হল না? হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘৫০ নম্বর ওয়ার্ড-সহ পুরসভার ছ’টি সংযুক্ত ওয়ার্ডের অনেক রাস্তা এবং নর্দমাই কাঁচা রয়েছে। এ বারের বাজেটে সংযুক্ত এলাকার উন্নয়নের জন্য আলাদা টাকা বরাদ্দ করেছি। কিছু রাস্তা চিহ্নিত করে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। যে রাস্তা নিয়ে সমস্যা, সেটি মেরামত করার ব্যবস্থা হচ্ছে। পুকুর বোজানোর অভিযোগও আমরা খতিয়ে দেখছি।’’ তিনি আরও জানান, বিকেলেই পুরসভার রাস্তা দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন। বিধায়ক তহবিল থেকে যাতে অর্থ বরাদ্দ হয়, স্থানীয় বিধায়ককে অনুরোধ করা হয়েছে।’’
শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির বক্তব্য জানতে তাঁকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy