আক্রান্ত মহিলা কবিতা দাস। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়ির পাশের মাচায় বসে চলত দেদার মদ্যপান। চিৎকার, কটূক্তি ভেসে আসত ওই আসর থেকে। প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশীকে মারধরের অভিযোগ উঠল আর এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, স্বামীকে বাঁচাতে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর স্ত্রীও। ভেঙেছে তাঁর হাত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির হরিপাল থানার বাহিরখণ্ড পঞ্চায়েতের জিগরা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামের বাসিন্দা ছোটন দাসের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী আব্দুল শহিদের বিবাদ দীর্ঘ দিনের। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল। তবে সোমবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, সোমবার সকালে শহিদ চড়াও হন ছোটনের উপর। দাবি, ছোটন নাকি তাঁর জায়গা দখল করে রাস্তা বানিয়েছেন। সেই রাস্তা ভাঙতে শুরু করায় বাধা দেন ছোটন। তখনই তাঁর উপর হামলা করা হয়। স্বামীকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন ছোটনের স্ত্রী কবিতা দাস। অভিযোগ, শহিদ তাঁকে মারধর করেন। মেরে হাত ভেঙে দেন।
জমি সংক্রান্ত বিবাদ হলেও ঝামেলার সূত্রপাত নাকি মদের আসরকে কেন্দ্র করে। আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, তাঁদের বাড়ির পাশে একটি মাচা তৈরি করেছিলেন শহিদ। সেই মাচায় দিনরাত নেশার আসর বসত। অন্য পাড়া থেকেও লোক আসতেন সেই আসরে। গ্রামের মহিলাদের কটূক্তি করতেন শহিদ এবং তাঁর সঙ্গীরা। এই নিয়ে বার বার বলা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েতও অভিযোগ কানে তোলেনি। সোমবারের ঘটনার পর ছোটন এবং তাঁর স্ত্রী হরিপাল থানায় গিয়ে শহিদ-সহ চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত শহিদকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে, সব অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করে শহিদের পরিবার। তারা পাল্টা ছোটন এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। শহিদের স্ত্রী রশ্মিনা বেগম জানান, তাঁর স্বামীকে মিথ্যে কথা বলে ফাঁসানো হচ্ছে। মদ্যপানের যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। তাঁর স্বামী এমন কোনও কাজ করতেন না। একই সুর শোনা গেল অভিযুক্তের শাশুড়ির গলাতেও। তিনি জানান, তাঁর জামাই এখন মদ্যপান করেন না। জমি নিয়ে প্রতিবেশী ঝামেলা করতেন। তা নিয়ে বিবাদের সময় অসাবধনতাবশত ওই মহিলার হাতে লেগে গিয়েছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর হাত ভাঙা হয়নি। শহিদের পরিবারও থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে। হরিপাল থানার পুলিশ জানিয়েছে, জমি নিয়ে দুই পরিবারে বিবাদ ছিল। দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy