অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা হেমন্ত পাল। (সাদা জামা পরা) নিজস্ব চিত্র।
মদ খাওয়ার প্রতিবাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুগলির আরামবাগে যুবককে ‘পিটিয়ে খুনের’ অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার পঞ্চমীর রাতে ঘটনাটি ঘটে আরামবাগ পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায়। আরামবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) সুপ্রভাত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। ধৃতকে বুধবার আরামবাগ আদালতে পেশ করা হবে বলে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার নাম হেমন্ত পাল। তিনি আরামবাগ পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি। কয়েক জন অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে ওই যুবককে খুন করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম দেবাশিস আশ (৩২)। তাঁর বাড়ি শ্রীনিকেতন পল্লিতে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে আরামবাগ পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় দেবাশিসের ভাগ্নে সায়নের সঙ্গে অভিযুক্ত হেমন্তের বচসা হয়। অভিযোগ, মদ খেয়ে গালিগালাজ করছিলেন তিনি। তারই প্রতিবাদ করেন সায়ন। তা থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তার পরই হেমন্ত এবং তাঁর দুই সঙ্গী অচিন্ত্য, স্বর্ণদীপ প্রতিহার মারধর করেন সায়নকে। খবর পেয়ে সায়নের মামা ঘটনাস্থলে আসেন। কেন তাঁর ভাগ্নেকে মারধর করা হচ্ছে তারই প্রতিবাদ করেছিলেন দেবাশিস। অভিযোগ, সেই প্রতিবাদের জেরেই দেবাশিসের উপর চড়াও হন হেমন্ত এবং তাঁর সঙ্গীরা। লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় দেবাশিসকে। তার পর তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে পালান অভিযুক্তেরা। এর পরে তাঁকে উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তখন দেবাশিসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেবাশিসের পরিবার এবং এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময়ে হেমন্তের কাছাকাছি থাকতেন সায়ন। বর্তমানে তাঁদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন আরামবাগ থানার আইসি রাকেশ সিংহ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায় বলেন, ‘‘মদ খেয়ে নিজেদের মধ্যে অশান্তি করায় এই ঘটনা ঘটেছে। বাঁশ দিয়ে মেরেছে। মাথায় লেগে মৃত্যু হয়েছে। যিনি মারা গিয়েছেন তিনিও আমাদের সমর্থক। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আইনানুগ ব্যবস্থা নিক।’’ অন্য দিকে, বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘এরা সব তৃণমূলের সম্পদ। একটা লোককে প্রকাশ্যে খুন করে ফেলল। কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy