চন্দননগরের হেলাপুকুরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ। — নিজস্ব চিত্র।
জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতেছেন হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দারা। শহর জুড়ে এখন উৎসবের মেজাজ। সেখানে গেলে দেখা মিলবে ‘বাপু’ অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধীর। কাছে গেলে তিনিও হাত বাড়িয়ে দেবেন আপনার দিকে।
চন্দননগরের রাস্তায় এখন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে গান্ধী মূর্তি। কখনও বাগবাজারে, কখনও বা সেই মূর্তির দেখা মিলছে হেলাপুকুরে। কচিকাঁচারা ‘বাপু’র হাত ধরে বা পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। কখনও নিজস্বী তুলছে। সেই মজা উপভোগ করছেন ‘বাপু’ও। বড়রাও ভিড় করে দেখছেন সেই দৃশ্য। সারা শরীরে রুপোলি রং করে মানুষকে এ ভাবেই আনন্দ দিয়ে বেড়ান শ্রীদাম মণ্ডল। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর কোলাঘাটের বাসিন্দা। মধ্যবয়সী শ্রীদাম গত ১০ বছর ধরে গান্ধী সাজেন। নিজের পেটও চালান ‘বাপু’ সেজেই। পশ্চিমবঙ্গের সব জেলা ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা তাঁর ঝুলিতে। জন সমাগমের খবর পেলেই সেখানে দু’পয়সা আয়ের জন্য ছুটে যান শ্রীদাম।
চন্দননগরে শুরু হয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো। হাজার হাজার মানুষের ভিড় চন্দননগরে। হরেক দোকানে হরেক সামগ্রী, খাওয়াদাওয়া এবং হেঁটে হেঁটে ঠাকুর দেখা— আপাতত কয়েক দিন ধরে এই শহরের রুটিন এখন এমনই। এই জনসমাগমের মধ্যে এসে হাজির শ্রীদাম। চন্দননগর স্টেশন রোডের ফটকগোড়া এলাকায় দেখা মিলল তাঁর। গান্ধিজির মতো শ্রীদামের হাতে লাঠি, চোখে গোল চশমা, পরনে সাদা ধুতি। শ্রীদামের ছিপছিপে চেহারায় এমন সাজ মানিয়ে গিয়েছে বেশ। শ্রীদামের কথায়, ‘‘আমি খুব গরিব। গান্ধী সেজে আমার পেট চলে।’’ ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পথের মাঝে ‘বাপুর’ দেখা পেয়ে খুশি ৮ থেকে আশি সকলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy