— প্রতীকী চিত্র।
এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। কিন্তু নির্যাতিতাকে নিয়ে হঠাৎই দেশ ছাড়ে পরিবার। তখন মেয়েটির বয়স ছিল ১০ বছর। আজ সে ১৪। চার বছর পর সেই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব সমাপ্ত হল নদিয়ার রানাঘাট আদালতে। সুদূর বাংলাদেশ থেকে সাক্ষ্য দিল পরিবার। জেলা পুলিশের উদ্যোগে ভিডিয়ো কলে উপস্থিত ছিল তারা। মঙ্গলবার নির্যাতিতা এবং পরিবারের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন অভিযুক্ত। বুধবার সাজা ঘোষণা। আদালত সূত্রে খবর, বিচারকের নির্দেশ শোনার পর ভিডিয়ো কলে কেঁদে ফেলেন নির্যাতিতা।
২০২০ সালের ২০ জুন রানাঘাটের একটি গ্রামে বছর দশের বালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নাম জড়ায় প্রতিবেশী যুবক সুকুমার বিশ্বাসের। থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। গ্রেফতার হন অভিযুক্ত। কিন্তু তার কিছু দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ চলে যায় নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ ওঠে, সুকুমারের গ্রেফতারির পর লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। অন্য দিকে, পকসো মামলাটি তখনও আদালতে চলছে। মামলার চার্জ গঠনের পর সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল সম্প্রতি। আট জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। কিন্তু মূল অভিযোগকারী এবং নির্যাতিতার অনুপস্থিতিতে মামলা শেষ হচ্ছিল না। অবশেষে জেলা পুলিশের উদ্যোগে সেটা শেষ হল।
পুলিশ সূত্রের খবর, রানাঘাট জেলা পুলিশ সুপার সানি রাজ এই মামলায় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের এক পদস্থ কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি ভিডিয়ো কলের নির্যাতিতা এবং পরিবারের সাক্ষ্যগ্রহণের ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার রানাঘাট স্পেশ্যাল এডিজে আদালতে শুরু হয় মামালার শুনানি। মোট ১১ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হন অভিযুক্ত। সংশ্লিষ্ট মামলার সরকারি আইনজীবী অতনুকুমার ভদ্র বলেন, ‘‘ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিতা এবং অভিযোগকারীরা সাক্ষী দিচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের জেলা আদালতে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।’’ এ জন্য পুলিশের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy