অভিষেক চৌধুরী। — নিজস্ব চিত্র।
ফেসবুকে লাইভ করে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করলেন যুবক। রবিবার ভোররাতে এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির ব্যান্ডেলের কেওটার মিলিটারি কলোনি এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ওই যুবকের আত্মহত্যার কারণ কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যুর আগে, ফেসবুকে ওই যুবক অভিযোগ করেছেন স্থানীয় একটি ক্লাবের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। পুলিশ ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
রবিবার ভোররাতে ফেসবুকে লাইভ করে আত্মঘাতী হন ব্যান্ডেলের কেওটার মিলিটারি কলোনির বাসিন্দা অভিষেক চৌধুরী (২৮)। ফেসবুক লাইভে তিনি কুণাল সরকার নামে স্থানীয় একটি ক্লাবের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অভিষেক বলেন, ‘‘আমি জানি না কার জন্য মরছি। কুণাল সরকার বলে, বড় বড় মন্ত্রী নাকি ওর সঙ্গে আছে। ওর স্ত্রী পুরসভায় চাকরি করে। আমার খুব খারাপ লাগছে। মরতে হবে আমাকে, কিছু করার নেই। কুণাল আমাকে বলেছে, আজকে তুই বিজেপির মিছিলে হেঁটেছিস। ও বলেছে, তোকে বিজেপি করতে দেব না। কিছু করতে দেব না। বাবাই দাদাকে বলিস, আমি ওকে খুব ভালবাসি। সকলে ভাল থেকো। খুশিতে থেকো। আমার একটা পা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিজেপি করি বলে আমার অপরাধ! আমি আত্মহত্যা করছি।’’
অভিষেকের বন্ধুরা তাঁর লাইভ দেখে সোমবার ভোরে তাঁর বাড়িতে যান। তাঁরা এবং অভিষেকের বাড়ির লোকজন তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অভিষেক যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন সেই কুণাল অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে পঙ্কজ দাস স্থানীয় ওই ক্লাবের এক সদস্য বলেন, ‘‘কুণালকে ছোটবেলা থেকে চিনি। কখনও অশান্তির মধ্যে ওকে থাকতে দেখিনি। ওর সম্পর্কে এই অভিযোগে আমি বিস্মিত। এর পিছনে কী আছে জানি না। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ আছে কি না জানি না। কারণ কুণাল কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। অভিষেকের মধ্যেও কখনও খারাপ কিছু দেখিনি।’’
এ নিয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘‘এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি মর্মাহত। ওকে কেউ হুমকি দিলে উচিত ছিল থানায় অভিযোগ করা। ওর দলের পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা উচিত ছিল। কী হয়েছে জানি না। লিখিত অভিযোগ পেলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি বিধায়ক। ও আমাকেও বিষয়টা জানাতে পারত।’’
অভিষেক যে বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন তা মেনে নিয়েছেন হুগলির বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ। তাঁর কথায়, ‘‘তাঁকে মানসিক ভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। তাই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’’ দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
এর কিছু ক্ষণ পর পুলিশ অভিযুক্ত কুণালকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy