অভিযুক্ত শ্রীকান্ত ঘোষ।
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে খুড়তুতো দাদা, বৌদি ও ভাইঝিকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল চণ্ডীতলার নৈটির বাসিন্দা শ্রীকান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের মৃতদেহ উদ্ধার হল গোবরা স্টেশনের রেললাইন থেকে। পুলিশ অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন শ্রীকান্ত।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ হাওড়া বর্ধমান কর্ড শাখার তিন নম্বর লাইনে শ্রীকান্ত ঘোষের দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধার করে কামারকুন্ডু জিআরপি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পবিরারের সদস্য ও প্রতিবেশীদের দিয়ে দেহ শনাক্ত করা হয়।
সোমবার সকালে হুগলির চণ্ডীতলার নৈটি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ, তাঁর স্ত্রী মিতা এবং তাঁদের মেয়ে শিল্পাকে কুপিয়ে খুন করেন খুড়তুতো ভাই শ্রীকান্ত। প্রথমে শাবল, পরে চপার দিয়ে আঘাত করে খুন করেন তিনি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন শ্রীকান্ত। পুলিশ তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল।
তবে, শ্রীকান্ত আত্মহত্যা করায় মোটেই খুশি নন প্রতিবেশীরা। আইনের বিচারে তাঁর চরমতম সাজা হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেছেন তাঁরা। এক প্রতিবেশী শুভেন্দু দত্ত বলেন, ‘‘এটা কোনও শাস্তি নয়। যে ভাবে ও একটা পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। ওর ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল।’’ স্থানীয় বাসিন্দা সুদীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ যে সম্পত্তি নিয়ে এত বিবাদ, তার কোনও নিষ্পত্তি হল না।’’ এই ঘটনায় শ্রীকান্তর দাদা তপন ঘোষকে আটক করেছে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ।
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘ ঘটনার পর বাড়ি থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আজ সকালে অন্য এক অভিযুক্তের দেহ রেললাইন থেকে উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy