দামের অঙ্ক দেখা যাচ্ছে উলুবেড়িয়ার একটি পেট্রল পাম্পে। ছবি: সুব্রত জানা
বিভিন্ন জেলায় আগেই সেঞ্চুরি করেছে পেট্রলের দাম। এ বার হাওড়াও জুড়ে গেল সেই তালিকায়।
মঙ্গলবার গ্রামীণ হাওড়ায় লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম ছিল ৯৯ টাকা ৯৪ পয়সা। বুধবার ৩৯ পয়সা বেড়ে পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি পৌঁছল ১০০ টাকা ৩৩ পয়সায়। ডিজ়েলের দাম লিটারে ২৩ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯২ টাকা ৬০ পয়সা। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে নয়া দাম কার্যকর হয়।
পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বাড়তে থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে। বাড়ছে আনাজ-সহ অন্যান্য জিনিসের দামও। সামান্য মাছ-ভাত জোটাতেও নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। পকেটে টান পড়ছে।
বুধবার উলুবেড়িয়ার একটি পেট্রল পাম্পে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স-চালক জগবন্ধু অধিকারী বলেন, ‘‘গরিব মানুষ অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। মাসদুয়েক আগে উলুবেড়িয়া থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতাম ১২০০ টাকায়। এখন নিতে হচ্ছে ১৬০০ টাকা। যে ভাবে জ্বালানির দাম বাড়ছে, ভাড়া না বাড়িয়ে উপায় নেই। ফলে, ভাড়াও কম হচ্ছে।’’
রেজাউল করিম নামে পাঁচলার এক বাসিন্দা একটি গাড়ির শো-রুমে ‘সেলস্’-এর কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘সারাদিন মোটরবাইকে ঘুরে খদ্দের জোগাড় করতে হয়। এ ভাবে পেট্রলের দাম বাড়লে কী ভাবে কাজকর্ম হবে? যে টাকার পেট্রল খরচ হবে সেই টাকা রোজগার হবে না। বাইক চড়া কমাতেই হবে। তাতে রোজগারও কমবে। কী ভাবে সংসার চালাব, ভাবতে পারছি না।’’
কাঁটাবেড়িয়ার মুদি ব্যবসায়ী মোবারক মোল্লা বলেন, ‘‘গ্রামে মুদিখানা চালাই। বাইকে করে মালপত্র কিনে এনে বিক্রি করি। পেট্রলের দাম বাড়ায় বাইক নিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব হবে না। কী করে দোকান চালাব, জানি না। সরকার যদি পেট্রল-ডিজ়েলের দাম না-কমায়, তা হলে এবার গরিব মানুষ না খেতে পেয়ে মরবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy