ধৃত পূর্বতন বোর্ডের সেলস ম্যানেজার দীপক মাঝি
তৃণমূল পরিচালিত সমবায় ব্যাঙ্কে কয়েক কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ওই কাণ্ডে সমবায়ের সেলস ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে ম্যানেজারেরও। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে চাপানউতর। তৃণমূলের দাবি, ওই চুরি হয়েছে বাম আমলে। যদিও পাল্টা তৃণমূলকেই দুষেছে সিপিএম।
পাণ্ডুয়ার সিমলাগড়ের শিবনগর জাহিরা সমবায়ে কয়েক কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান সভাপতি কাজল মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘২০১৮ সালে ওই সমবায়ে আমাদের বোর্ড আসার পর দেখতে পাওয়া যায় ২০১৬-১৭ থেকে অডিট হয়নি। ২০১৯-২০ সালে আমরা অডিট করি। তাতে ধরা পড়ে দুর্নীতি। এর পর পাণ্ডুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি।’’ ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যান সরোজকুমার ঘোষের অভিযোগ, ‘‘আমরা প্রথমে পাণ্ডুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এর পর হাই কোর্টে আবেদন করি। এর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেনামে সার বিক্রি করা হয়েছে ওই সমবায় ব্যাঙ্কে।’’
এই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার ওই সমবায়ের পূর্বতন বোর্ডের সেলস ম্যানেজার দীপক মাঝিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা যা করেছি তা বোর্ডের নির্দেশেই।’’ এ নিয়ে হুগলি জেলা পরিষদের কৃষি সেচ কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট আমলের এঁরা ম্যানেজার এবং সেলস ম্যানেজার ছিলেন। বহু দিন ধরেই আমরা অভিযোগ করছিলাম। আমাদের বোর্ড আসার পর অভিযোগ হয়। বাম আমলে এরা দুর্নীতি করেছে। এর পিছনে মাথা কে তা দেখতে হবে।’’ পাণ্ডুয়ার প্রাক্তন বাম বিধায়ক আমজাদ হোসেনের পাল্টা তোপ, ‘‘তৃণমূল সব সমবায় দখল করে নিয়েছে অনেক আগেই। ভাগাভাগিতে কম হয়েছে বলেই ওরা অভিযোগ করেছে। এত দিন ঠিকঠাক ভাগ পাচ্ছিল বলে অভিযোগ করেনি। আসল সকলেই চোর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy